চলচ্চিত্রে সাহিত্যের উপস্থাপন হোক বৈচিত্র্যময়

সিআইইউতে সেমিনারে বক্তারা

আজাদী অনলাইন | মঙ্গলবার , ৩০ আগস্ট, ২০২২ at ৬:০৮ অপরাহ্ণ

সিনেমার সঙ্গে সাহিত্যের সম্পর্কের গভীরতা বহু পুরোনো। তবে সাহিত্য নির্ভর চলচ্চিত্রে থাকতে হবে আন্তঃমাধ্যম সমন্বয় এবং নির্মাতার মুন্সিয়ানা। কার্যকর ও দৃষ্টিনন্দন চিত্রকল্পের মাধ্যমে সাহিত্যের গল্পটিকে যদি নানান বৈচিত্র্যতায় সৃজনশীলভাবে ফুটিয়ে তোলা যায়, তবে তা হবে একটি স্বার্থক চলচ্চিত্র।

চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে (সিআইইউতে) আয়োজিত চলচ্চিত্র বিষয়ক সেমিনারে এমনই কথা বলেছেন বিশ^বিদ্যালয়ের স্কুল অব লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস-এর ডিন ড. শাহ আহমেদ। নগরের জামাল খান ক্যাম্পাসের মিনহাজ কমপ্লেক্সে সিআইইউর ¯স্ল্যাস ডিবেটিং সোসাইটি ‘সাহিত্যের চলচ্চিত্রিক অনুবাদ : অবিকল না সৃজনশীল?’ শিরোনামে সম্প্রতি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে ড. শাহ আহমেদ আরও বলেন, বহুকাল ধরে সাহিত্যের উপর নির্ভর করে বিশ্বে প্রচুর চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। বর্তমান সময়েও এই ধরণের সিনেমা দর্শকদের হৃদয়ে ঠাঁই পাচ্ছে। সাহিত্যকে সিনেমার পর্দায় কীভাবে দেখানো হবে তা নিয়ে যথেষ্ট আলোচনা-সমালোচনা এবং গবেষণার সুযোগ রয়েছে।

সত্যজিৎ রায় পরিচালিত চারুলতা সিনেমাটিকে একটি আদর্শ চলচ্চিত্র উল্লেখ করে ড. শাহ আহমেদ বলেন, যে কোনো সাহিত্য নির্ভর চলচ্চাত্রিক মূল্যায়ন করতে আমাদের আগে সাহিত্যের ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

গল্পটিকে হুবহু তুলে না ধরে তুলনামূলক শিল্পমান বিচারের উপরে গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ¯স্ল্যাস ডিবেটিং সোসাইটির চিফ মডারেটর এবং প্রভাষক আশিকুর রহমান। উপস্থাপনা করেন কৃতী শিক্ষার্থী জান্নাতুন নূর।

অনুষ্ঠানে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা সিনেমা নিয়ে তাদের অভিমত তুলে ধরেন। প্রধান বক্তা সেসব প্রশ্ন মনোযোগ দিয়ে শুনেন এবং পরে সেগুলোর উত্তর চমৎকারভাবে তুলে ধরেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপটিয়ার একটি মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
পরবর্তী নিবন্ধবান্দরবানের রোয়াংছড়িতে গুলিতে নিহত ১