কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের হাজীর বাড়ি এলাকা থেকে লায়লা বেগম (১৪) ও জান্নাতুল ফেরদৌস দীঘি (১৩) নামে দুই স্কুলছাত্রী একই সময় রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়েছে। নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টা পরও হদিস মিলেনি তাদের। এতে পরিবারের সদস্যদের মাঝে উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার কর্ণফুলী থানায় পৃথকভাবে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ বলেন, দুই কিশোরী নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে পুলিশ খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের হাতে কোনো ধরনের ডিভাইজ না থাকায় অবস্থান শনাক্ত করা যাচ্ছে না। পরিবারের পক্ষ থেকে সিলেটের এক যুবকের মোবাইল নম্বর দেওয়া হলেও ওই যুবক এ বিষয়ে কোনো কিছু স্বীকার করছে না। নিখোঁজ ছাত্রীদের উদ্ধারে সম্ভাব্য স্থানে অভিযান চলছে। আত্মীয়–স্বজনদের বাড়িতেও খোঁজ নিতে বলা হয়েছে।
নিখোঁজ লায়লা বেগম স্থানীয় নবীর হোসেনের মেয়ে ও কর্ণফুলী মডেল স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী। তার উচ্চতা প্রায় ৫ ফুট এবং গায়ের রং উজ্জ্বল। পরিবারের সদস্যরা জানান, গত রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্কুলে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি।
অপরদিকে জান্নাতুল ফেরদৌস দীঘি একই বাড়ির বাসিন্দা মহিউদ্দিন হোসেনের মেয়ে ও চরলক্ষ্যা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
দীঘির মা কোহিনুর আক্তার জানান, লায়লা ও দীঘি ঘনিষ্ঠ বান্ধবী। তারা আলাদা স্কুলে পড়লেও প্রায় সময় একসঙ্গে চলাফেরা করত। নিখোঁজের দিনও তারা একসঙ্গে বাসা থেকে বের হয়। দুজনের কাছে মোবাইল ফোন ছিল না।