চমেক হাসপাতালে সাধারণ রোগী ভর্তি সীমিত রাখাসহ কয়েক দফা সিদ্ধান্ত

করোনা রোগীর চাপ

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১৩ জুলাই, ২০২১ at ৫:৩০ পূর্বাহ্ণ

করোনা রোগীর চাপে হিমশিম অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল। হাসপাতালটির ৩০০ শয্যার করোনা ইউনিটে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২৮০ ছাড়িয়েছে। আর দশটি আইসিইউ-এইচডিইউর একটি শয্যাও খালি নেই। বিশেষ করে গত কয়েকদিনে রোগীর সংখ্যা হু হু করে বেড়ে গেছে এ হাসপাতালে। কিন্তু রোগী বাড়লেও বিদ্যমান জনবল দিয়েই দিতে হচ্ছে চিকিৎসা সেবা। এতে করে রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম অবস্থায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ রোগীদের অতিরিক্ত চাপ সামলাতে কয়েকদফা সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এর আওতায় সাধারণ রোগীদের মাঝে অতি জরুরি ছাড়া অন্যান্য রোগীদের ভর্তি সীমিত রাখা এবং জরুরি অস্ত্রোপচার ছাড়া রুটিন অস্ত্রোপচার আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ূন কবীর স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। অফিস আদেশে বলা হয়েছে, জরুরি অস্ত্রোপচার ছাড়া রুটিন অস্ত্রোপচার আপাতত স্থগিত থাকবে; জরুরি রোগী ভর্তি ছাড়া রুটিন রোগী ভর্তি আপাতত বন্ধ থাকবে; যারা জরুরি রোগের বাইরে সাধারণ বা দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তাদের ব্যবস্থাপত্র দিয়ে বাড়িতে চিকিৎসা গ্রহণের জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হবে; এবং সব স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, নার্সিং কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের দায়িত্ব পালনের সময় অত্যাবশ্যক ভাবে মাস্ক পরিধান করতে হবে।
এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত ও আদেশের সত্যতা নিশ্চিত করে চমেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবীর আজাদীকে বলেন,
উর্ধ্বগামী সংক্রমণে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে দিন দিন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। কিছুদিন আগেও যেখানে একশর কম রোগী ছিল, এখন সেখানে রোগীর সংখ্যা প্রায় তিনশ জন। রোগীর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। দিন দিন রোগী বাড়লেও হাসপাতালের বিদ্যমান ডাক্তার-নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মী দিয়েই এসব রোগীদের সেবা দিতে হচ্ছে। অর্থাৎ এই সময়ে জনবল কিন্তু বাড়েনি। হাসপাতালের অন্যান্য রোগীদের সেবাও চালু রাখতে হচ্ছে। কিন্তু করোনা রোগীর সংখ্যা যেহেতু দিন দিন বাড়ছে, সাধারণ রোগীদের মাঝে অতি জরুরি ছাড়া অন্যান্য রোগী ভর্তি সীমিত করতে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। একই ভাবে জরুরি অস্ত্রোপচার ছাড়া অন্যান্য রুটিন অস্ত্রোপচার আপাতত স্থগিত থাকবে। অন্যান্য সাধারণ রোগীদের এই সময়ে হাসপাতালে অবস্থান করাও অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ মন্তব্য করে হাসপাতাল পরিচালক বলেন, খুব বেশি জরুরি না হলে এবং যেসব রোগীকে বাসায় রেখে চিকিৎসা দেয়া যাবে; তাদের আমরা রিলিজ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ, সাধারণ ওয়ার্ডগুলোতে রোগীর চাপ কিছুটা কমাতে পারলে বিদ্যমান জনবল দিয়ে করোনা ইউনিটের চিকিৎসা সেবাটা আরো ভালো ভাবে দেয়া যাবে বলে আমরা মনে করি। মূলত এ কারণেই এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগরু আসছে, সংকট হবে না
পরবর্তী নিবন্ধএক লাফে শনাক্ত বেড়ে ১৩ হাজার ৭৬৮ জন