চমেক হাসপাতালে চালু হল ২০ শয্যার শিশু কিডনি ওয়ার্ড

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ২৫ মে, ২০২৫ at ৮:৪০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় চালু হয়েছে ২০ শয্যার শিশু কিডনি ওয়ার্ড। গতকাল সকাল ৯টায় নতুন এই ওয়ার্ডের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পিএনএসবির সাবেক সভাপতি শিশু কিডনি চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হানিফ। সভাপতিত্ব করেন শিশু কিডনি ওয়ার্ডের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. সনত কুমার বড়ুয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তসলিম উদ্দিন, উপপরিচালক ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডা. আবদুর রব, চট্টগ্রাম মেরিন সিটি হাসপাতালের শিশু বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. বাসনা রাণী মুহুরী, কিডনি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. নুরুল হুদা, শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মুছা মিয়া, বিপিএর সাবেক সদস্য সচিব ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালী, শিশু সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অধ্যাপক ডা. গোলাম হাবিব, সহযোগী অধ্যাপক ডা. কিরিটি প্রসাদ দেব। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন কিডনি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মারুফউলকাদের। শিশু কিডনি ওয়ার্ডের চিকিৎসার বিষয়ক ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন ডা. সুস্মিতা সেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন ডা. তাসফিসা তাবাসসুম। প্রধান অতিথি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হানিফ বলেন, দেশের শিশু কিডনি রোগী বাড়ছে। এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে হবে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে আলাদা ওয়ার্ডের মাধ্যমে এক নতুন অধ্যায়ের যাত্রা করেছে। দেশে এখন চিকিৎসাসেবার মান বেড়েছে। এখানে রোগীরা উন্নতমানের চিকিৎসাসেবা পাবে। ঢাকানির্ভরতা কমে আসবে। ২০১৩ সালের ১১ ডিসেম্বর চমেক হাসপাতালে শিশু কিডনি রোগীদের চিকিৎসার জন্য চালু করা হয়েছিল মাত্র ১১ শয্যার একটি ওয়ার্ড। তখন সেটি ছিল শিশুস্বাস্থ্য বিভাগের ভেতরে গাদাগাদি করে চিকিৎসাসেবা নিতে হতো। রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় পরে শয্যা সংখ্যা বাড়িয়ে ১৫টি করা হয়। শিশু রোগীদের ঝুঁকি ও ভোগান্তি এবং চাহিদার কথা চিন্তা করে সুরক্ষিত পরিবেশে এই আলাদাস্বতন্ত্র ওয়ার্ড চালু করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

নতুন শিশু কিডনি ওয়ার্ডের জন্য সব ধরনের সুযোগসুবিধা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তসলিম উদ্দিন। তিনি বলেন, শিশু রোগীদের উন্নত ও নিরাপদ চিকিৎসাসেবার পরিবেশ নিশ্চিতে আমরা সদা সচেষ্ট। রোগীদের স্বজনরাও এতে অনেকটা স্বস্তি পাবেন।

শিশু কিডনি রোগ বিভাগের চিকিৎসক ডা. মারুফউলকাদের বলেন, এখন আলাদা ওয়ার্ডে শিশুদের সুরক্ষিত পরিবেশে উন্নত চিকিৎসাসেবা দেওয়া অনেক সহজ হবে। কর্তৃপক্ষের এই উদোগ চট্টগ্রামবাসীর জন্য বড় সুখবর। এতে শিশু রোগীরা ডায়ালাইসিস সুবিধাসহ সব ধরনের সুবিধা পাবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজ্বালানি বন্টনের ক্ষেত্রে সাম্য ও ন্যায্যতা বজায় রাখতে হবে
পরবর্তী নিবন্ধদীঘিনালায় ইউপি সদস্যসহ যুবলীগের ২ নেতা গ্রেপ্তার