চমেকে হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার ইউনিট : নওফেল

বিশেষায়িত বার্ন ইউনিট স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে

| সোমবার , ১১ জানুয়ারি, ২০২১ at ৬:১৯ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার ইউনিট নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন এবং বিশেষায়িত বার্ন ইউনিট স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। নগরীর চশমা হিলের বাসভবনে গতকাল রোববার হাসপাতালের নার্সিং অ্যাসোসিয়েশন, বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সমিতির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এসব বিষয়ে জানান। খবর বিডিনিউজের।
চট্টগ্রাম-৯ আসনের সংসদ সদস্য শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা চমেক হাসপাতালকে আধুনিক হাসপাতাল হিসেবে রূপান্তর করতে কাজ করছেন; যার অংশ হিসেবে এই হাসপাতালে বিশেষায়িত পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার ইউনিট নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন এবং বিশেষায়িত বার্ন ইউনিট সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। ক্যান্সার ইউনিট চালু হলে বৃহত্তর চট্টগ্রামের মানুষের ক্যান্সারের চিকিৎসা পাওয়া অনেক সহজ হবে এবং বার্ন ইউনিট চালু হলে আগুনে পোড়া রোগীদের ঢাকায় না নিয়ে চট্টগ্রামেই উন্নত চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে। চট্টগ্রামে ক্যান্সার চিকিৎসায় কোনো বিশেষায়িত হাসপাতাল নেই। চট্টগ্রাম মেডিকেলে ২৬ শয্যার একটি বার্ন ইউনিট থাকলেও সেখানে আইসিইউ নেই, আছে জনবলের ঘাটতি। শিক্ষা উপমন্ত্রী মহামারীর শুরু থেকে এখানে চিকিৎসা সেবায় জড়িতদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় আক্রান্তদের সেবা দেওয়ায় সবাইকে ধন্যবাদ জানান। তিনি নেতাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনে সেসব সমাধানের আশ্বাস দেন।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সেলিম আকতার চৌধুরী, হাসপাতালের উপ-পরিচালক আফতাবুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক রাজীব পালিত, হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এইচ এম জিয়া উদ্দিন, বাংলাদেশ নার্সিং অ্যাসোসিয়েশন (বিএনএ) চট্টগ্রাম মেডিকেল শাখার সভাপতি আশু চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আখন্দ, তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন আহমেদ, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সমিতির সভাপতি আব্দুল মতিন মানিক প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকাঁচামাল সংকটে অস্থির রডের বাজার
পরবর্তী নিবন্ধওদের দুজনের ফেরা হলো না বাড়ি