চমেকের ৭৫ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

ক্যাম্পাসে শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড ১১ জনকে মুচলেকা নিয়ে অব্যাহতি

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ২৯ অক্টোবর, ২০২৪ at ৮:৩৪ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) এমবিবিএস ও বিডিএসের বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের ৭৫ জন শিক্ষার্থীকে ৬ মাস থেকে ২ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে কলেজ ক্যাম্পাসে শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল। এছাড়া একই অপরাধে বাকি আরো ১১ জনকে মুচলেকা নিয়ে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। গত রোববার দুপুরে চমেক অধ্যক্ষ ডা. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত চমেক একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। যা গতকাল থেকে কার্যকর হয়েছে।

চমেক সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কিছু শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ তদন্তে গত ১১ সেপ্টেম্বর ১২ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে চমেক কর্তৃপক্ষ। কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ছাত্রাবাসে অবৈধ অনুপ্রবেশ, অবৈধভাবে কক্ষ দখল, অঙ্গীকার ভঙ্গসহ কলেজের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট, মারধর ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব শিক্ষার্থীর যথেচ্ছাচারী আচরণের কারণে কলেজে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ চরমভাবে বিঘ্নিত হয়েছে। তারা সংঘবদ্ধ হয়ে কলেজ ক্যাম্পাস ও ছাত্রাবাসগুলোতে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। এদের মধ্যে কিছু শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ এলাকায় সংঘটিত বিভিন্ন সংঘাতের কারণে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এরপরও তারা আরও শিক্ষার্থী নিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে ছাত্র রাজনীতির নাম ভাঙিয়ে একক কর্তৃত্ব, গোষ্ঠীগত আধিপত্য ও ব্যক্তিগত হিরোইজম প্রদর্শনের জন্য বিভিন্ন নিন্দনীয় ঘটনা ঘটায়। কলেজ ক্যাম্পাস এবং ছাত্রাবাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হলেও তারা সেটা অমান্য করে এ ধরনের কাজে লিপ্ত ছিলেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

চমেক অধ্যক্ষ ডা. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা মারামারিসংঘর্ষ, আধিপত্য বিস্তারসহ ক্যাম্পাসে শৃঙ্খলাবিরোধী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল। তাদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে আগেও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল।

চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিন বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে বহিষ্কারের এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ক্যাম্পাস সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করা এবং শৃঙ্খলা বিরোধী কাজ কখনো কাম্য হতে পারে না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধযারা বহিষ্কার হলেন
পরবর্তী নিবন্ধযুক্তরাষ্ট্রে ভোটকেন্দ্রগুলো কতটা নিরাপদ? কর্মীরা হুমকি পাচ্ছেন