চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আশেপাশের ব্যক্তি মালিকানাধীন মেস-কটেজে বসবাসরত শিক্ষার্থীদের ৪০ শতাংশ ভাড়া মওকুফের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় কটেজ মালিক সমিতি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, হাটহাজারী থানা ও হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসনের সাথে দীর্ঘ বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্ত নেন তারা। আলোচনা শেষে মালিকরা এই ছাড় দিতে সম্মত হলে কটেজ মালিক সমিতিকে ৫০ হাজার টাকা উপহার দেওয়ার কথা ঘোষণা দেন হাটহাজারী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন।
গতকাল রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতারের নির্দেশনায় হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ আলম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিনের উপস্থিতিতে কটেজ মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসে প্রক্টরিয়াল বডি। এ নিয়ে করোনার মাঝামাঝি থেকে চবি প্রক্টরিয়াল বডি দফায় দফায় বৈঠক করলেও ২০ শতাংশের বেশি ছাড় দিতে রাজি হননি তারা। এর আগে গত মাসের ২৭ সেপ্টেম্বর ‘কটেজ ভাড়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় চবি শিক্ষার্থীরা’ শিরোনামে দৈনিক আজাদীতে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর ১ অক্টোবর এ নিয়ে মানববন্ধন করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রবিউল হাসান ভুঁইয়া আজাদীকে বলেন, ‘উপাচার্য ম্যাডামের নির্দেশনায় আমরা ওসি ও ইউএনওকে নিয়ে কটেজ মালিকদের সাথে বসেছি। আমাদের দাবি ছিল ৫০ শতাংশ ভাড়া মওকুফ করা। কিন্তু মালিক সমিতি ২০ শতাংশের বেশি ছাড় দিতে রাজি ছিলেন না। যার কারণে এর আগে কোনো বৈঠক সফল হয়নি। কিন্তু এবার এসব নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা শেষে এক পর্যায়ে তারা ৪০ শতাংশ ভাড়া মওকুফ করতে রাজি হন।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান প্রশাসন শিক্ষার্থীদের কল্যাণে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। আপাতত মালিক সমিতির অন্তর্ভুক্ত কটেজগুলোতে এই সিদ্ধান্ত বলবৎ হবে। ধীরে ধীরে অন্যান্য কটেজগুলোকেও আমরা এই মওকুফের আওতায় আনবো।’
এ ব্যাপারে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন বলেন, ‘দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করে মালিক সমিতি ৪০ শতাংশ ছাড়ে সম্মত হলে আমি সমিতিকে ৫০ হাজার টাকা উপহার দেওয়ার কথা বলেছি। কোনো চাপ প্রয়োগ ছাড়াই তারা এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন, তাই আমি খুশি হয়ে তাদেরকে এই অনুদান দিচ্ছি। এ বিষয়ে কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি শাহ আলম বলেন, ‘যতদিন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকবে আমরা শিক্ষার্থীদের ভাড়া চল্লিশ ভাগ মওকুফ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’