চবি উপ–উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেছেন, চবি ল্যাবরেটরী স্কুল এন্ড কলেজ এবং কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারকে মানসম্মত প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যাওয়া আমার অন্যতম লক্ষ্য।
তিনি গতকাল শনিবার আইন অনুষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত চবি ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের পাঠোন্নয়নে শিক্ষক–অভিভাবক পরামর্শ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, চবির একটি অন্যতম অঙ্গ প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় শিক্ষার্থীদেরকে যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। উপ–উপাচার্য বলেন, বিগত সময়ে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা স্কুলের শৃঙ্খলা রক্ষা করতে উদাসীন ছিলেন। তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সুন্দর পরিবেশের জন্য ৪ টি অর্গান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেগুলো হচ্ছে, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও সামাজিক পরিবেশ। তিনি অভিভাবকদেরকে নিজেদের সন্তানদের প্রতি যত্নশীল হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, সন্তানদের জন্য ব্যাংকে টাকা না জমিয়ে তাদেরকে মানুষের মত আদর্শ মানুষ হিসেবে তৈরি করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, নিরপেক্ষতার সাথে সৎ, যোগ্য ও মেধাবী শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে এ প্রতিষ্ঠানের গৌরব ও ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা হবে। প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার করতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি ।
এতে আলোচক ছিলেন কলেজ গভর্নিং বডির সদস্য ও জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. আতিয়ার রহমান। তিনি বলেন, একটি জাতিকে ধ্বংস করতে হলে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পুড়িয়ে দেওয়াই যথেষ্ট। একজন সফল স্টুডেন্ট তৈরি করতে চাইলে সফল গল্প তৈরি করতে হবে। তিনি প্রতিষ্ঠানের সার্বিক উন্নয়নে সকলের ইতিবাচক মানসিকতা ও আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রফেসর ড. মো. কোরবান আলী বলেন, শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। একটি জাতিকে উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যেতে শিক্ষকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তিনি শিক্ষার্থীদেরকে নিজেদের সন্তান হিসেবে মনে করে তাদেরকে অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে পড়ালেখায় মনোযোগী করে আদর্শ ও মানবিক মানুষ হিসেবে তৈরি করার পরামর্শ দেন। কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) নাসিমা পারভীনের সভাপতিত্বে এবং সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ আবু জাফরের পরিচালনায় সমাবেশে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সহকারী প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মো. গোলাম মোস্তফা সরকার, শিক্ষক প্রতিনিধি আহমদ উল্লাহ, মো. জামাল উদ্দিন এবং শিক্ষকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন সহকারী শিক্ষক অশোক কুমার দাস।অভিভাবকবৃন্দ স্কুল ও কলেজের পড়ালেখার মানোন্নয়ন, শান্তি–শৃঙ্খলা রক্ষা ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নসহ প্রতিষ্ঠানের সার্বিক উন্নয়নে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করে বক্তব্য রাখেন এবং অভিভাবকদের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।