নারী কেলেংকারী, নারী উত্যক্তকরণ, অছাত্রত্ব, মাদকাসক্তি ও মাদক ব্যবসায় জড়িতের অভিযোগ এনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলকে সভাপতি পদ থেকে বহিষ্কার চেয়ে বিবৃতি দিয়েছে শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন উপ-পক্ষের ২৯১ জন নেতাকর্মী।
আজ শনিবার (২১ নভেম্বর) রাত সাড়ে নয়টায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান তারা।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি চবি শাখা ছাত্রলীগ সভাপতির মেয়ে নিয়ে হোটেলে ভাইরাল হওয়া ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং গণমাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে রেজাউল হক রুবেল শুধু শাখা ছাত্রলীগকে কলঙ্কিত করেনি বরং উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের গায়ে কালিমা লেপন করেছে। আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি পদ থেকে রেজাউল হক রুবেলকে বহিষ্কারের দাবি জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রুবেল কতদিন ধরে ঐ হোটেলে যাতায়াতে করে তা তদন্তের মাধ্যমে এবং ডোপ টেস্ট করে সে যে মাদকাসক্ত তা বের করার দাবি জানাচ্ছি।
এছাড়া সে যে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত তার চ্যালেঞ্জ জানিয়ে প্রশাসনকে তদন্তপূর্বক আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি।
বিজ্ঞপ্তিতে ২৯১ নেতাকর্মীর নাম রয়েছে। তাদের মধ্যে অন্যতম ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন, সাবেক অর্থ সম্পাদক এস এম জাহেদ আওয়াল, সাবেক শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক আমির সোহেল, উপ-সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক ইমাম উদ্দীন ফয়সাল পারভেজ, প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয়, এইচ এম ইশতিয়াক, মোরশেদুল ইসলাম, মোহাম্মদ পারভেজ, মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাবেক শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক আমির সোহেল আজাদীকে বলেন, “সম্প্রতি রেজাউল হক রুবেলের নারি কেলাঙ্কারি ফাঁস হয়েছে। এছাড়া মাদক ব্যবসা, ছাত্রী উত্যক্তকরণ সহ বিভিন্ন অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। তাই তাকে দ্রুত বহিষ্কারের জন্য দাবি জানাচ্ছি।”
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় বলেন, “রেজাউল হক রুবেলের বিরুদ্ধে কমিটি হওয়ার আগে থেকেই নানান অভিযোগ রয়েছে। এরমধ্যে অন্যতম মাদক ব্যবসা, ছাত্রী উত্যক্তকরণ ও গাছ কাটা। সম্প্রতি তার নারি কেলাঙ্কারিও ফাঁস হয়েছে। আজ তার অনুসারী এক কর্মী অপহরণ মামলায় গ্রেফতারও হয়েছে। তাই তাকে অবিলম্বে বহিষ্কারের দাবি জানাই।”