চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) এক ছাত্রলীগ কর্মীকে তুলে নিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। মারধরের শিকার হায়াত উল্লাহ চবির সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯–২০ সেশনের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক ভার্সিটি এক্সপ্রেস (ভিএক্স) গ্রুপের কর্মী। গতকাল সকালে হলে মালামাল নিতে আসলে তাকে মারধর করা হয় বলে জানা যায়।
ভুক্তভোগীর পক্ষে তার সহপাঠী সাইদুর রহমান জুবায়ের গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়, শনিবার সকাল ৯টার দিকে ক্যাম্পাসের জিরো পয়েন্ট থেকে অজ্ঞাত তিনজন হায়াত উল্লাহকে শহীদ আবদুর রব হলের ৩২৪ নম্বর কক্ষে নিয়ে যায়। এসময় আরও ১০ থেকে ১২ জন তাকে ওই কক্ষে আবদ্ধ করে নির্যাতন করে। এতে ভুক্তভোগীর বাম হাত ও পাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ জখম হয়।
জানা যায়, ছাত্রলীগের ভিএঙ উপগ্রুপের সক্রিয় কর্মী ছিলেন হায়াত উল্লাহ। কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ‘মীরজাফর’ উল্লেখ করে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিচারবহির্ভূত নির্যাতন ছাত্রলীগের সংস্কৃতি। তারা এ ধরনের কার্যক্রম সমর্থন করেন না। ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা। পাশাপাশি মারধরের শিকার ছাত্র কোনো অপরাধ করে থাকলে তাও খতিয়ে দেখার দাবি তাদের।
চবি প্রক্টর প্রফেসর ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ জানান, মারধরের ঘটনা জানতে পেরে তাৎক্ষণিক রব হলে গিয়ে ওই ছাত্রকে গেস্টরুমে পায় প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা। পরে চিকিৎসার জন্য চবি মেডিকেলে নেওয়া হয়। সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। চমেক হাসপাতালে গিয়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা হয়। হাসপাতালে ভর্তি থাকার মতো গুরুতর সমস্যা না থাকায় তাকে বন্ধুদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। প্রক্টর বলেন, আগামীকাল হল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অফিসিয়ালি জানানো হবে। তারপর খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।