চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই উপগ্রুপ সিএফসি এবং সিক্সটি নাইনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। উভয়পক্ষের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ির ঘটনায় অন্তত ৫ জন আহত হন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শাহজালাল হল ও শাহ আমানত হল সংলগ্ন একটি দোকানে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দোকানে বসা নিয়ে বিবদমান গ্রুপ দুটির সিনিয়র এবং জুনিয়র কর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরপরেই শাহজালাল হলে অস্থানরত সিঙটি নাইনের নেতাকর্মী ও শাহ আমানত হলে অবস্থানরত সিএফসির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
এসময় উভয় পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ইট–পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে। এছাড়া রাম দা, লাঠিসোটাসহ বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্রের মহড়া দিতে দেখা গেছে নেতাকর্মীদের। পরে প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
এ ঘটনায় উভয়পক্ষের আহত ৫ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্য থেকে ৪ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সংঘর্ষের ব্যাপারে শাখা ছাত্রলীগের সহ–সভাপতি ও সিঙটি নাইন গ্রুপের নেতা সাইদুল ইসলাম বলেন, দুই মাস আগে সিএফসি আর সিঙটি নাইনের মধ্যে একবার সংঘর্ষ হয়েছিল। এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি দুটি মামলাও হয়েছিল। আমরা চাচ্ছিলাম যে নিজেদের মধ্যে কথা বলে এসব মামলা তোলে নিতে। কিন্তু এর মধ্যে তারা আমাদের ছেলেদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। আর আমাদের ছেলেরাও তাদের প্রতিহত করেছে।
অপরদিকে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে শাখা ছাত্রলীগের সহ–সভাপতি ও সিএফসির নেতা মির্জা খবির সাদাফ বলেন, আমরা জানতে পেরেছিলাম যে আজকে বিএনপি ক্যাম্পাসে শোডাউন দেবে। আমরা সে শোডাউন প্রতিহত করার জন্য নিজেদের মধ্যে একটা মিটিং করছিলাম। মিটিং চলাকালীন সিঙটি নাইনের ছেলেরা আমাদের হলের সামনে এসে উল্টাপাল্টা কথা বলছিল এবং পরিকল্পিতভাবে আমাদের ছেলেদের সঙ্গে বাজে আচরণ করে। এরপর আমাদের ছেলেরাও উত্তেজিত হয়ে যায়। যার ফলে সংঘর্ষ বাধে।
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। আমরা দুই পক্ষকেই শান্ত করে যার যার হলে পাঠিয়ে দিয়েছি। ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে।