চবি চারুকলার শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ

চবি প্রতিনিধি | শুক্রবার , ২১ নভেম্বর, ২০২৫ at ৫:৫২ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটের এক শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আলমাস মাহমুদ রাফিদ। গত বুধবার মধ্যরাতে ২ নম্বর গেইট এলাকায় রাহমানিয়া হোটেলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার শিক্ষার্থী চারুকলা ইনস্টিটিউটের ২০২০২১ সেশনের মোহাম্মদ আলমাস মাহমুদ রাফিদ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

অভিযোগপত্রে তিনি জানান, ১৮ নভেম্বর দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে অবস্থানকালে চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আল মাসরুর ফাহিম, নূর সানি ও জমাদিউল আউয়াল সুজাত তাকে হুমকি দেয়। প্রক্টর অফিসের সামনে থাকা ‘হাদিস মুছে চারুকলা ইনস্টিটিউটের নাম লেখায়’ চারুকলার মানহানি হয়েছে বিষয়টি নিয়ে চারুকলার ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে প্রতিবাদ করায় তাকে টার্গেট করা হয় বলে অভিযোগ করেন রাফিদ।

অভিযোগে আরও বলা হয়, স্টেশন থেকে ভ্যানে করে ২ নম্বর গেইটে আসার পর রাত ১টা ২০ মিনিটের দিকে ফাহিম, সানি, সুজাতের সঙ্গে রেদোয়ান (১৭১৮ সেশন), আরিফ (২০২১ সেশন), মেহেদী (২০২১ সেশন) এবং অজ্ঞাত আরও ২০৩০ জন মিলে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা সবাই ছাত্রদলের মামুন (বহিষ্কৃত নেতা) গ্রুপের কর্মী বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

জানতে চাইলে অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা জামাদিউল আউয়াল সুজাত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা অনেকেই ২ নম্বর গেটে ছিলাম। সেখানে মারামারি ঘটতে দেখেছি। শুনেছি এটি চারুকলার অভ্যন্তরীণ বিষয়। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমাকে ফাঁসাতে আমার নামে অভিযোগ তোলা হচ্ছে। সাইদ মো. রিদওয়ান বলেন, চারুকলার কিছু অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে আলমাসের সঙ্গে তার বিভাগের সিনিয়রদের কথা কাটাকাটি হয় এবং এক পর্যায়ে মারধর শুরু হয়। আমি শেষ দিকে সেখানে যাই।

মোহাম্মদ ফাহিম বলেন, আলমাসের বিরুদ্ধে আগে থেকেই অনেক অভিযোগ আছে, একটি তদন্তও চলছে। আলমাস এক সিনিয়রকে তদন্তে বিপক্ষে কিছু না বলতে নিষেধ করেছিল। গতকাল সেই সিনিয়রকে পেয়ে স্টেশনে তর্ক করে এবং পরে ২ নম্বর গেটে আবার জিজ্ঞাসাবাদে আলমাসই মারধর শুরু করে। পরে ওর ব্যবহারে ক্ষুব্ধ হয়ে সেখানে থাকা আমরা অনেকে ওকে গণপিটুনি দেই। ডিপার্টমেন্টে তার নামে নানা অভিযোগ রয়েছে, সেগুলোও আমরা দিয়েছি।

এ সম্পর্কে জানতে চাইলে সহকারী প্রক্টর সাইদ বিন কামাল বলেন, আমরা এই সম্পর্কে একটা লিখিত অভিযোগপত্র পেয়েছি। অভিযোগ পত্রটি বোর্ড অফ রেসিডেন্সিয়ারি হেলথ এন্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটিতে পাঠানো হবে। সেখান থেকে সব সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমানিলন্ডারিং মামলায় সাকিবসহ ১৫ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদকে তলব
পরবর্তী নিবন্ধওয়েস্টার্ন মেরিনে নির্মিত তিনটি জাহাজ রপ্তানি হচ্ছে আরব আমিরাতে