চবি ক্যাম্পাস পুরোদিন থমথমে

চবি প্রতিনিধি | বুধবার , ১৭ জুলাই, ২০২৪ at ৬:৫১ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গতকাল মঙ্গলবার পুরোদিন থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করে। সন্ধা ৭টার পর থেকে আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে এলে জিরো পয়েন্ট এলাকায় প্রক্টরিয়াল বডির উপস্থিতিতে তাদের মোবাইল তল্লাশি চালান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় আন্দোলনকারী অনেক শিক্ষার্থীকে মারধর করে ছাত্রলীগ। প্রত্যেক হলে ছাত্রলীগ তল্লাশি চালাচ্ছে। সন্দেহজনভাবে ৫ জনকে মারধর করে এবং প্রক্টরিয়াল বডির নিকট হস্তান্তর করা হয়। প্রক্টরিয়াল বডি তল্লাশি করে তাদের তিনজনের কাছে রড পায়। তাদেরকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। রাত ১০টায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসের জিরো পয়েন্টে বিচ্ছিন্নভাবে অবস্থান করছিলেন।

এর আগে সকালে ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক গ্রুপগুলো এক হয়ে ক্যাম্পাসে বিচ্ছিন্নভাবে অবস্থান নেয়। বিকাল ৩টার দিকে কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মিছিল করে।

কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, হলে হলে ছাত্রলীগ তল্লাশি চালাচ্ছে। কারো কাছে আন্দোলনে অংশ নেওয়ার প্রমাণ পেলেই মারধর করছে। এছাড়া ছাত্রলীগের কর্মীদের মধ্যে যারা আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন বা কোটাবিরোধী পোস্ট দিয়েছেন তাদের চিহ্নিত করে মারধর করা হচ্ছে। ক্যাম্পাসে নেটওয়ার্ক ধীর গতির রয়েছে।

শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক সিএফসি গ্রুপের নেতা (একাংশের) মির্জা খবির সাদাফ খান বলেন, আমরা কোটা সংস্কারের পক্ষে। আমরাও চাই কোটা সংস্কার হোক। কিন্তু একটি শ্রেণি এই আন্দোলনটাকে অন্য খাতে প্রবাহিত করার জন্য নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। তারা দুদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো পবিত্র যায়গায়, ত্রিশ লক্ষ শহীদের দেশে নিজেদের রাজাকার হিসাবে আখ্যায়িত করে। এই স্বঘোষিত রাজাকারদের রাজাকার কোটায় পাকিস্তান পাঠিয়ে দেওয়া হোক। এ বিষয়ে জানতে চবি প্রক্টর ড. অহিদুল আলমকে একাধিকবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘চলে আসুন ষোলশহর’ স্ট্যাটাস দেওয়ার আড়াই ঘণ্টা পর ছাত্রদল নেতার মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধসব স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ, হল ত্যাগের নির্দেশ