চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতারের সাথে জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘরের পরিচালক ড. মো. আতাউর রহমান গত ২৪ নভেম্বর উপাচার্য দপ্তরের অফিস কক্ষে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় চবি সাংবাদিক সমিতির সদস্য রেদওয়ান আহমদও উপস্থিত ছিলেন। উপাচার্য অতিথিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ ক্যাম্পাসে স্বাগত জানিয়ে অতিথিকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন। উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার ড. রহমানের উপস্থাপিত সংশ্লিষ্ট বিষয়ের উপর নতুন বিভাগ খোলার প্রস্তাবকে সাধুবাদ জানান। তিনি বলেন, তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুনভাবে বিষয় চালু করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তাই এ বিষয়ের গুরুত্ব বিবেচনায় এটা কোর্স হিসেবে পড়ানো যায়।
এসময় উপাচার্য জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘরের পরিচালককে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যুক্ত করার জন্য ‘প্রত্নতত্ত্ব, জাদুঘর ও পর্যটনশিল্প’ বিষয়ে একটি লিখিত রূপরেখা প্রদানের অনুরোধ করেন। ড. মো. আতাউর রহমান চবি উপাচার্যের হাতে তাঁর লেখা ‘প্রত্নতাত্ত্বিক এ্যালবাম: চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ’, ‘প্রত্নতত্ত্বে বাংলাদেশ’ ও ‘একনজরে জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘর’ নামের তিনটি বই উপহার হিসেবে তুলে দেন। এছাড়াও তিনি উপাচার্যকে আগ্রাবাদে অবস্থিত দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘর পরিদর্শনের জন্য আহ্বান জানান। চবিতে প্রত্নতত্ত্ব ও জাদুঘরবিদ্যা নামে একটি বিভাগ চালুর আহ্বান জানিয়ে জাদুঘর ও প্রত্নতত্ত্ববিদ ড. মো. আতাউর রহমান বলেন, প্রত্নতত্ত্ব ও জাদুঘর একটি দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও অতীত গৌরবকে বহন করে। বর্তমান বিশ্বে এই বিষয়ে যথেষ্ঠ চাহিদা ও সুযোগ–সুবিধা রয়েছে। একটি দেশের পর্যটনশিল্প বিকাশের জন্য প্রত্নতত্ত্ব ও জাদুঘর খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দুঃখজনক হলেও সত্য, চট্টগ্রাম একটি ঐতিহাসিক ও দেশের সর্ববৃহৎ পর্যটন অঞ্চল হওয়া সত্ত্বেও চবিতে এ ধরনের কোন বিষয় নেই। যা চালু করা সময়ের দাবি।