চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য ও উপ–উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে এবং প্রশাসনিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে শিক্ষক সমিতির পূর্বঘোষিত লাগাতার আন্দোলন চলমান রয়েছে। এরপর আরও কঠোর কর্মসূচি আসবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। গতকাল রোববার বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চবির প্রশাসনিক ভবনের সামনে প্রশাসনের অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত নিউজকে ব্যানার আকারে প্রদর্শন করেছে শিক্ষক সমিতি। আজও একই কর্মসূচি পালিত হবে। এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর আবদুল হক বলেন, আমরা আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছি। আগামীকালও (আজ সোমবার) একইভাবে সংবাদগুলো প্রদর্শন করা হবে। এছাড়া মঙ্গলবার থেকে আরও নতুন সংবাদ প্রদর্শন করবো। আমরা শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারীদের ব্যাপক সাড়া দেখতে পেয়েছি।
তিনিও আরও বলেন, উপাচার্য, উপ–উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আমরা আরও কঠিন কর্মসূচি দিব। তারা সহজে পদত্যাগ করবেন বলে মনে হয় না। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি আমরা চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে প্রশাসনের অনিয়ম, দুর্নীতি তুলে ধরবো। এছাড়া ওইদিনই আমরা আমাদের পরবর্তী কঠোর কর্মসূচির ডাক দিব।
উল্লেখ্য, বিভাগীয় পরিকল্পনা কমিটির ‘না’ করা সত্ত্বেও চবিতে বাংলা বিভাগে ৭ জন ও আইন বিভাগে ২ জন শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড বাতিলের দাবিতে গত ১৭ ডিসেম্বর অবস্থান কর্মসূচি পালন করে চবি শিক্ষক সমিতি। পরে কয়েকজন প্রার্থীকে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে গিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে অভিযোগ করে অবস্থান কর্মসূচি ও উপাচার্যের পদত্যাগের একদফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছে চবি শিক্ষক সমিতি। তারই অংশ হিসেবে প্রশাসনের নানা অনিয়ম, দুর্নীতির সংবাদ নিয়ে প্রদর্শনী করছেন নেতৃবৃন্দ।