চবির ৪ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

ঠিকাদারকে মারধরের অভিযোগ

| শনিবার , ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ৫:২৪ পূর্বাহ্ণ

ঠিকাদারকে মারধরের অভিযোগ

চবি প্রতিনিধি

তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে না পেয়ে ঠিকাদারকে মারধরের অভিযোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের চারজন নেতাসহ অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার মো. তামজিদ উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি বাদি হয়ে হাটহাজারী থানায় মামলা দায়ের করেন। তিনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স আর এস এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. সেকান্দরের ছেলে। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, গত বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ফ্যাকাল্টির সামনে মারধরের শিকার হন তামজিদ উদ্দিন ও তার বন্ধু ফাহিম আলম। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় চারজনের নাম উল্লেখের পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা আরও ৭৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা হলেন, মেহেদী হাসান, সাফায়েত হোসেন, মাশরুর কামাল অনিক এবং মোহাম্মদ হৃদয়। তারা সবাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ২০১৫১৬ সেশনের শিক্ষার্থী। চারজনই চবি শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির নেতা। এদের মধ্যে মেহেদী হাসান সহসভাপতি, সাফায়েত সাংগঠনিক সম্পাদক, মাশরুর উপ কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক এবং হৃদয় সহ সম্পাদক ছিলেন। হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান আজাদীকে বলেন, আমরা একটি মামলা গ্রহণ করেছি। বিধি মোতাবেক তদন্ত সম্পন্ন হবে। তদন্তের জন্য একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তে পাওয়া সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সামনে একটি নামফলক নির্মাণের দায়িত্ব পায় মেসার্স আর এস এন্টারপ্রাইজ। প্রতিষ্ঠানটির মালিক সেকান্দর অসুস্থ থাকায় তার মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে তামজিদ কাজের দেখভাল করছিলেন। গত বুধবার তামজিদসহ প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা কাজ করতে গেলে বাধা দেন ছাত্রলীগের একদল নেতা। তারা তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ নিয়ে কথাবার্তার মধ্যেই তারা হামলা করেন।

এতে আরও অভিযোগ করা হয়েছে, ঘটনার তিনদিন আগে তামজিদের বাবা সেকান্দরকে আসামিরা ফোন করেন। নির্মাণকাজ করতে হলে সাফায়েত হোসেন, মেহেদী হাসান, মাশরুর কামাল অনিক ও হৃদয়কে তিন লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। টাকা না দিলে কাজ করতে দেবে না বলে তাকে হুমকি দেওয়া হয়।

ভুক্তভোগী তামজিদ উদ্দিন বলেন, চাঁদা না দেওয়ায় আসামিরা আমাকে এলোপাতাড়িভাবে কিলঘুষি ও লাথি মারেন। তাদের হাত থেকে বাঁচাতে আমার বন্ধু ফাহিম আলম এগিয়ে এলে তাকেও আসামিরা লোহার রড ও কাঠের বাটাম দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করেন। এরপর তারা আমাকে আব্দুর রব হলে নিয়ে গিয়ে ২৫ মিনিটের মতো আটকে রেখে বিভিন্ন হুমকিধমকি দেন। সেখান থেকে কোনোমতে বের হয়ে আমি প্রক্টর কার্যালয়ে গিয়ে লিখিত অভিযোগ দিই।

এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. নূরুল আজিম সিকদার। তিনি বলেন, রেজিস্ট্রারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। আগামী রোববার তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দেবে। সেই প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে আমরা জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকক্সবাজারে হোটেল থেকে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীর মৃতদেহ উদ্ধার
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে বোরো আবাদযোগ্য জমি বেড়েছে ১০ হাজার হেক্টর