চবির ৩৮২ কোটি ৪১ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা

শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দ ৩০৭ কোটি ৪৩ লাখ গবেষণায় রাখা হয়েছে ৬ কোটি ৫৫ লাখ টাকা

চবি প্রতিনিধি | রবিবার , ২৪ জুলাই, ২০২২ at ৫:৪০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৩৮২ কোটি ৪১ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাপ্তি ৩৭৮ কোটি ৪৮ লাখ। ঘাটতি বাজেট রয়েছে ৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। বরাবরের মতো এবারও অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা-পেনশন খাতকে। এ খাতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৩০৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
গবেষণায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৬ কোটি ৫৫ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের ১ দশমিক ৭১ শতাংশ। গত অর্থবছরে এ খাতে বাজেট ছিলো ৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এছাড়া পণ্য ও সেবা বাবদ বাজেট ধরা হয়েছে ৫৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।
গতকাল শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সিনেট সভাকক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতারের সভাপতিত্বে ৩৪তম বার্ষিক সিনেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় এই বাজেট উপস্থাপন করেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চবি উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. বেনু কুমার দে।
বাজেট প্রস্তাবকালে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বলেন, ২০২১-২২ অর্থবছরে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কাছ থেকে ৫৮৪ কোটি ৫ লাখ টাকা চাহিদা দেওয়া হয়েছিলো। নিজস্ব আয় ২২ কোটি টাকার বিপরীতে ইউজিসি থেকে নীট বরাদ্দ পেয়েছি ৩৫৬ কোটি ৪৮ টাকা। এর মধ্যে ৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা অতিরিক্ত ব্যয় ধরা হয়েছে। এবারও বেতন-ভাতা খাতে সর্বোচ্চ বাজেট দেওয়া হয়েছে। এদিকে অনুমোদিত বাজেটে প্রতি শিক্ষার্থীর পিছনে বাৎসরিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৯৮৬ টাকা।
বাজেটের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খাতের মধ্যে ব্যবস্থাপনা খাতে মোট ৩ কোটি ৯৭ লাখ, পরীক্ষকদের পারিতোষিক ব্যয় ১ কোটি, মোট অনুষ্ঠান বিল ৫৫ লাখ, গাড়ির জ্বালানি ব্যয় ৪ কোটি ৩০ লাখ, বইপত্র, সংবাদপত্র ও সাময়িকী খাতে ৮৯ লাখ টাকা ও প্রকাশনা খাতে ২০ লাখ, প্রচার ও বিজ্ঞাপন খাতে ৩০ লাখ টাকা বাজেট ধরা হয়েছে। এছাড়া রেল ভাড়া ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, আনুষঙ্গিক কর্মচারী বিল ১ কোটি ৭৫ লাখ ধরা হয়েছে। যা অস্বাভাবিক বিল বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সিনেট সভায় চট্টগ্রাম সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়েশা খান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য, সিন্ডিকেট সদস্য, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
সিনেট সভায় বাজেট পেশকালে উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেন, শিক্ষা-গবেষণা খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এবার বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। করোনা মহামারীসহ বিভিন্ন দুর্যোগেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা-গবেষণা, প্রশাসনিক ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে বর্তমান প্রশাসন সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নিরলসভাবে কাজ করেছে। এ ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখতে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ পর্ষদসহ সকলের সহযোগিতা চান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে বাসের ধাক্কা
পরবর্তী নিবন্ধলালখান বাজারে সড়কে উপড়ে পড়ল গাছ