চবির ১০ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি

মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ at ৯:২৪ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শেখ হাসিনা হলের ১০ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার ও প্রক্টরের মন্তব্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করা মন্তব্যকে ‘কুরুচিপূর্ণ’ আখ্যা দিয়ে তার পদত্যাগ দাবি করেন। এদিন বিকাল সাড়ে চারটার দিকে নগরের ষোলোশহরে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করেন। মানববন্ধনে রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরোজ তৃণা বলেন, আমি ওই হলের একজন আবাসিক শিক্ষার্থী। যেখানে প্রক্টরের দায়িত্ব ছিল আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সেখানে তিনি বিশৃঙ্খলাকে উস্‌কে দিয়েছেন। রাত ১২টায় একদল শিক্ষার্থী কীভাবে মেয়েদের হলের সামনে গিয়ে আতঙ্ক ছড়ায়? অথচ প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে আমাদের হলের মেয়েদেরই বহিষ্কার করেছে। ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২১২২ সেশনের শিক্ষার্থী আল মাশনূন বলেন, এই প্রশাসন একপক্ষীয় বিচার করে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। আমরা যারা এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কথা বলেছি, তাদেরকে হানিট্র্যাপ বলে অপমান করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই, তারা যেন বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে এবং শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চায়। অন্যথায়, আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব। জানা গেছে, গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলের সামনে নৌকা প্রতীক ভাঙতে গেলে বিক্ষুব্ধ ছাত্রদের সাথে হলের ছাত্রীদের বাকবিতণ্ডা হয়। এরপর প্রক্টরিয়াল বডি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে তাদের সাথে বাগবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে ছাত্রীদের। পরে এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন : এদিকে অন্যায়ভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বহিষ্কৃত চবির পাঁচ শিক্ষার্থী। সম্মেলনে প্রক্টরের পদত্যাগ ও বহিষ্কারাদেশের প্রত্যাহারসহ ছয় দাবি জানান তারা। গতকাল বিকেল সাড়ে চারটায় নগরীর ষোলশহর স্টেশনে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা। এসময় বহিষ্কৃতদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রওজাতুল জান্নাত, সুমাইয়া শিকদার, উম্মে হাবিবা বৃষ্টি, মাইসারা জাহান ইশা ও জান্নাতুল মাওয়া মিথিলা। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুমাইয়া শিকদার। সম্মেলনে জান্নাতুল মাওয়া মিথিলা বলেন, সেদিন চার পাক্ষিক একটা ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু রাতের বেলা মেয়েদের হলের সামনে ভাঙচুর করার প্রতিবাদ জানানো মেয়েদেরকেই শুধু শাস্তির আওতায় আনা হলো। অথচ যারা ভাঙচুর করেছিল, যে শিক্ষার্থী হলের গেটে তালা দিলো তাকে কোনো শাস্তি দেওয়া হলো না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাউদার্ন ইউনিভার্সিটিতে দরপত্রের নির্দেশিকা বিষয়ক সেমিনার
পরবর্তী নিবন্ধজুবিলী রোড মার্চেন্টস এসোসিয়েশন ২৯ পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত