চবির হলে সুপেয় পানির সংকট

চবি প্রতিনিধি | সোমবার , ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ at ৭:২৯ পূর্বাহ্ণ

 

 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আবাসিক হলগুলোর সমস্যা নিয়ে অভিযোগের শেষ নাই। এরমধ্যে বিশুদ্ধ পানির সংকট অন্যতম। এ ঘটনায় সামপ্রতিক কয়েকটি হলের অফিস কক্ষে তালা দিয়ে আন্দোলনও করেছে শিক্ষার্থীরা। সর্বশেষ গত মাসের ২৮ তারিখ সোহরাওয়ার্দী হলে নানা সমস্যার অভিযোগে তালা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এর আগে ২৪ আগস্ট আলাওল হলে তালা দিয়ে প্রভোস্টের পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চবির এএফ রহমান হলের ব্যবহৃত পানির টাঙ্কিগুলো সমপ্রতি পরিষ্কার করা হয়। সেই টাঙ্কি থেকে বেরিয়ে এসেছে ময়লার স্তূপ। ময়লার আবরণের পরিমাণটা কয়েক ইঞ্চি পুরো। সুপেয় পানির পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। এ এফ রহমান হলে থাকা প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থীর জন্য মাত্র একটি সুপেয় পানির লাইন। তাও সবসময় সেখানে পানি পাওয়া যায় না। প্রতিবছর বাজেট বাড়লেও শিক্ষার্থীদের জীবনযাত্রার মান বাড়েনি।

এ এফ রহমান হলের একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা জানা যায়, এ পানি ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। অযুগোসলের সময় পানি নাকমুখ দিয়ে শরীরে প্রবেশ করছে। শিক্ষার্থীরা নিরুপায় হয়ে এমন পানি ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছে। পাশাপাশি এ পানি ব্যবহারে বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের চিকিৎসকরা জানান, এরকম পানি খেলে পেটে ব্যথা এবং ডায়রিয়া হতে পারে। এছাড়া গোসল বা জামাকাপড় ধোয়ার কাজে ব্যবহার করলে এলার্জি, মাথার চুল পড়ে যাওয়াসহ নানান ক্ষতি হতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চাইলে কৃত্রিম উপায়ে এ পানি ব্যবহারযোগ্য করতে পারে।

হল সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিজস্ব পাম্পিং সিস্টেমের মাধ্যমে যে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হয়, সেটা যথেষ্ট হয় না। তাই আলাদা করে পানি উত্তোলনের জন্য মোটর স্থাপন করা হয়েছে। তবে সেখান থেকে ভালো পানি উঠছে না। অপরদিকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেওয়া পানিগুলো নিচতলার টাঙ্কিগুলোতে জমা হলেও তৃতীয়/চতুর্থ তলা পর্যন্ত পৌঁছে না। তাই অন্তত পানি সরবরাহ ঠিক রাখতে নিজস্ব মোটরের লাল রঙের পানিই সাপ্লাই দিতে হচ্ছে। চবির ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী ছৈয়দ জাহাঙ্গীর ফজল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ৭টি পাম্প রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্ডারগ্রাউন্ড ওয়াটার ছাড়া অন্যকোনো পানি সরবরাহ করা হয় না। তবে সামপ্রতিক সময়ে দুটি পাম্পে সমস্যা হচ্ছে। যার ফলে চবির আলাওল ও এফ রহমান হলে বিশুদ্ধ পানি তুলনামূলক কম পাওয়া যায়। যদিও খাবারের পানির জন্য আলাদা ফিল্টারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসারা দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্তে রেকর্ড, মৃত্যু ১৮
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে তরুণের মৃত্যু