চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স মসজিদের পেশ ইমাম শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ওঠা বলাৎকারের অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়নি।
এ ঘটনায় গঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী এমন তথ্য পাওয়া গেছে। শহিদুল ইসলাম হাটহাজারী উপজেলার মৃত ফয়েজ আহাম্মদের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আজ বুধবার(১৬ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসান আজাদীকে বলেন, “তদন্ত প্রতিবেদন জমা হয়েছে। এতে ইমামের বিরুদ্ধে যেসবক অভিযোগ উঠেছিল সেসবের সত্যতা পাওয়া যায়নি। তিনি পদে বহাল রয়েছেন। এখন প্রশাসনিক ভবনে দায়িত্ব পালন করছেন।”
এর আগে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর ফরেস্ট্রি ইন্সটিটিউটের ক্যান্টিনের মো. সাগর হোসেন নামে এক বালককে বলাৎকারের অভিযোগ উঠে শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শহিদুল ইসলামকে মারধর করে উপস্থিত জনতা।
পরে খবর পেয়ে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ও পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য মেডিকেলে পাঠায়। তার পরের দিন ৯ ডিসেম্বর এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত কমিটিতে বেগম খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম সোহেলকে আহ্বায়ক ও তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী সেলের ডেপুটি রেজিস্ট্রার সৈয়দ মনোয়ার আলীকে সদস্য সচিব ও সহকারী প্রক্টর এস এ এম জিয়াউল ইসলামকে সদস্য করা হয়।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ড. মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম সোহেল আজাদীকে বলেন, “আমরা মাসখানেক আগে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। তবে এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার।”