বইয়ের ছবি তুলতে চাওয়ায় বাকবিতণ্ডার জেরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আইন বিভাগের সাবেক এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে নগরীর এক দোকান মালিক ও কর্মচারীরা। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে নগরীর আন্দরকিল্লায় অবস্থিত কামরুল বুক হাউজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহত মোহাম্মদ জাবেদ চবি আইন বিভাগের ২০১২-১৩ সেশনের ছাত্র ও চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের শিক্ষানবিশ আইনজীবী।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার মোহাম্মদ জাবেদ বই ক্রয় করতে আন্দরকিল্লা মসজিদ মার্কেটের কামরুল বুকস হাউসে যান। এ সময় জাবেদ বইয়ের কয়েকটি পৃষ্ঠার ছবি তুলতে চান। এ নিয়ে দোকানের কর্মচারী ছগীরের সাথে জাবেদের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে কামরুল বুক হাউস এবং পেংগুইন লাইব্রেরির সত্ত্বাধিকারী আরশেদ হোসেনের নেতৃত্বে দোকানের কর্মচারী ছগীরসহ আরো পাঁচ ছয়জন মিলে জাবেদকে মারধর করে। এ সময় আরশেদ হোসেন লোহার রড দিয়ে জাবেদের মাথার পিছনে আঘাত করে। এতে জাবেদের মাথা ফেটে যায়। পরবর্তীতে জাবেদের বন্ধুরা খবর পেয়ে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে ভর্তি করেন।
গতকাল শুক্রবার ভুক্তভোগী জাবেদ দৈনিক আজাদীকে বলেন, আমি বই কিনতে কামরুল বুক হাউজে যাই। কিন্তু আমি যে রাইটারের বই ক্রয় করতে চেয়েছি সে রাইটারের বই না থাকায় অন্য রাইটের একটি বই দেখান দোকানের কর্মচারী। আমি বইয়ের সূচির ছবি তুলতে চাইলে তারা আমার সাথে তর্কে জড়ায় এবং এক পর্যায় আমার গালে থাপ্পড় দেয়। এরপর পাশের দোকানের কমচার্রীরাসহ জড়ো হয়ে আমাকে মারধর করে এবং লোহার রড দিয়ে আমার মাথা ফাটিয়ে দেয়। আমি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এ বিষয়ে কামরুল বুক হাউজের মালিক আরশেদ হোসেন বলেন, ছবি তুলতে মানা করায় দোকানের কর্মচারীর সাথে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে আমার কর্মচারীরা তার গায়ে হাত তুললে সেও আমার কর্মচারীদের গায়ে হাত তোলে। পরে পাশের দোকানের অন্যান্য কর্মচারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে জাবেদকে মারধর করে। আমাদের ভুল হয়েছে।
চবি আইন অনুষদের সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন চুয়েলসার সাধারণ সম্পাদক ও আইনজীবী জাফর ইকবাল বলেন, কামরুল বুক হাউজের এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। শীঘ্রই কামরুল বুক হাউজের মালিকসহ ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।









