চবিতে ‘হিউম্যান রাইটস হিস্ট্রি’ শীর্ষক সেমিনার আয়োজন

চবি প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ৬ নভেম্বর, ২০২৫ at ৯:৪৩ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) আয়োজন করা হয়েছে ‘হিউম্যান রাইটস হিস্ট্রি’ শীর্ষক সেমিনার। সেমিনারে মুখ্য আলোচক ছিলেন ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির লেকচারার ইন হিউম্যান রাইটস ড. রুথ কেলি। গতকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট কক্ষে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইয়াহ্‌ইয়া আখতার। অতিথি ছিলেন উপউপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন ও উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, আমরা ড. রুথ কেলিকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আমাদের সকলকে কাজ করতে হবে। আমরা আজকে রুথ কেলির মাধ্যমে মানবাধিকার সম্পর্কে অনেক কিছুই নতুনভাবে জানতে পারব।

গেস্ট ইন্ট্রোডাকশন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চারুকলা অনুষদের পরিচালক মিসেস তাসলিমা আকতার। তিনি বলেন, রুথ কেলি হলেন লেকচারার ইন হিউম্যান রাইটস। এছাড়া তিনি সেন্টার ফর অ্যাপ্লাইড হিউম্যান রাইটস এবং পলিটিক্স ডিপার্টমেন্টের অন্তর্ভুক্ত। বর্তমানে তিনি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ব্যবহার করে রাজনৈতিক পরিবর্তন নিয়ে কাজ করছেন। এছাড়া তিনি ইউগান্ডা, বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্যর এক্টিভিস্টদের সাথে একটি গবেষণা পরিচালনা করছেন। মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে ড. রুথ কেলি বলেন, আমেরিকার নাগরিকদের অধিকার আন্দোলনের শুরুতে লক্ষ্য ছিল জিম ক্রো আইন ভেঙে আইনি সমতা অর্জন করা। কিন্তু শিগগিরই আন্দোলনের কর্মীরা বুঝতে পারেন, প্রকৃত মুক্তি কেবল আইন নয় বরং আত্মনিয়ন্ত্রণ, মর্যাদা ও বাস্তব স্বাধীনতার মধ্যে নিহিত। উদারপন্থী রাজনীতিকদের অনেকেই কালো মানুষদের কৃতজ্ঞ থাকতে বললেও, ব্ল্যাক পাওয়ার আন্দোলন জানিয়ে দেয় যে স্বাধীনতা কোনো দান নয়, এটি অর্জনের বিষয়।

তিনি আরও বলেন, এই আন্দোলন নাগরিক অবাধ্যতার পথ থেকে সরে এসে আত্মরক্ষা ও আত্মনির্ভরতার দিকে অগ্রসর হয়। তারা সমাজে একীভূত হওয়ার চেয়ে নিজেদের ক্ষমতা ও পরিচয় গড়ে তোলাকে বেশি গুরুত্ব দেয়। একই সঙ্গে এই আন্দোলন যুক্তরাষ্ট্রের সীমা পেরিয়ে কিউবা, চীন, ভিয়েতনাম ও ফিলিস্তিনের মুক্তি সংগ্রামের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে। ব্ল্যাক পাওয়ার আন্দোলন কেবল মানবাধিকারের লড়াই নয়, বরং অভ্যন্তরীণ ঔপনিবেশিকতার বিরুদ্ধে এক আত্মমর্যাদার আন্দোলন ছিল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপুলিশের লুণ্ঠিত অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে পুরস্কার ঘোষণা
পরবর্তী নিবন্ধবুদ্ধাংকুর বিহার ও বিদর্শন কেন্দ্রে কঠিন চীবর দান