চাকরি দেয়ার কথা বলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) মানিক চন্দ্র দাস নামে এক কর্মচারীর অর্থ লেনদেনের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি থেকে সাত মাস পর পদত্যাগ করেছেন কমিটির সদস্য ও সাবেক সহকারী প্রক্টর এসএএম জিয়াউল ইসলাম। গতকাল বৃহস্পতিবার ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের নিকট চিঠি দিয়ে তিনি এ পদত্যাগ করেন। এ ঘটনায় দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও কোনো ধরনের ফলাফল আসেনি। কমিটি গঠনের কথা জানেন না খোদ কমিটির সদস্য।
জানা গেছে, মানিক চন্দ্র দাসের অর্থ লেনদেনের ঘটনায় গত বছরের ৬ আগস্ট চার সদস্য বিশিষ্ট একটি গঠন করা হয়। এতে আহ্বায়ক ছিলেন চবির শাহ আমানত হলের প্রভোস্ট প্রফেসর নির্মল কুমার সাহা। এছাড়া সদস্য সচিব হিসেবে ছিলেন গোপনীয় শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার সৈয়দ ফজলুল করিম।
অপর দুই সদস্য ছিলেন, সহকারী প্রক্টর মো. আহসানুল কবীর পলাশ এবং কেন্দ্রীয় স্টোর শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার রাশেদুল হায়দার জাবেদ। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর এসএম মনিরুল হাসান বাদী হয়ে হাটহাজারী থানায় একটি মামলাও করেন।
এরপর এ বছরের ১৫ জানুয়ারি তারিখে একই ঘটনায় আবারও তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু এ কমিটির বিষয়ে কিছুই জানেন না খোদ তদন্ত কমিটির সদস্য এসএএম জিয়াউল ইসলাম। তাই কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন তিনি।
এ ব্যাপারে জিয়াউল ইসলাম বলেন, ‘এই তদন্ত কমিটি কখন হয়েছে, কেন হয়েছে তার কিছুই জানি না। হুট করে আমাকে চিঠি দিয়ে সভায় ডাকা হয়েছে। আমার কাছে সবকিছু অগোছালো এলোমেলো মনে হয়েছে। তাই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছি।’
এদিকে অর্থ লেনদেনের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রথম সভা আহ্বান করা হয়েছে প্রায় এক বছরের মাথায়। এই কমিটির প্রথম সভা গতকাল বৃহস্পতিবার হওয়ার কথা ছিল। পরে এ সভা পিছিয়ে আগামী সোমবার (৩১ জুলাই) নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে, তদন্ত কমিটির বিষয়েও জানেন না বর্তমান রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নূর আহমদ। জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তখন রেজিস্ট্রার ছিলাম না। আমি এ ব্যাপারে স্টাডি না করে কোনো কিছুই বলতে পারব না।
উল্লেখ্য, গত বছর আগস্ট মাসের শুরুর দিকে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে তিন চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকে ৮ লাখ ২০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠে রেজিস্ট্রার অফিসের নিম্নমান সহকারী মানিক চন্দ্র দাশের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার বেশ কয়েকটি ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পরপরই মূলত বিষয়টি সামনে আসে।