চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পেশাগত দায়িত্বপালনকালে ছাত্রলীগ কর্তৃক সাংবাদিক হেনস্তার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক–শিক্ষার্থীরা। এর সাথে একাত্মতা পোষণ করে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (চবিসাস)। গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে এগারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বর এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে তারা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান করেন। এসময় তাদের হাতে, রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভে আঘাত কেন? প্রশাসন জবাব চাই, অপরাধীদের চেনা যায় শাস্তি তবু দেয়া দায়।
শিক্ষার্থীরা এসময় ৩ দিনের মধ্যে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান। এসময় যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টা সহকারী অধ্যাপক রেজাউল করিম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাংবাদিক স্বাধীনভাবে কাজ করবে এবং নানা সমস্যা ও অনিয়মগুলোকে তুলে ধরে বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনের দিকে নিয়ে যাবে। কিন্তু ক্যাম্পাসের আজ একজন নারী সাংবাদিক তার কাজ করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়। এ জন্য প্রশাসনের নিকট দাবি অপরাধীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় নিয়ে এসে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। চবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মাহবুব এ রহমান বলেন, ক্যাম্পাসে প্রায় ২৮ হাজার শিক্ষার্থীর কণ্ঠস্বর হিসেবে কাজ করে গণমাধ্যম কর্মীরা। শিক্ষার্থীদের সুখ–দুঃখ ও হাসি–কান্নার সঙ্গী সাংবাদিকরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাবনার গল্পের পাশাপাশি সব অনিয়ম ও দুর্নীতির খবরও উঠে আসে সাংবাদিকদের কলমে। পেশাগত দায়িত্বপালনকালে সাংবাদিকদের বাধা প্রদান করা মানে ক্যাম্পাসের ২৮ হাজার শিক্ষার্থীর টুটি চেপে ধরা। আমরা আজকের এই আন্দোলনে সংহতি জানাচ্ছি এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি রওশন আক্তার, সহযোগী অধ্যাপক ড. শহীদুল হক, সহযোগী অধ্যাপক ফারজানা করিম, সহকারী অধ্যাপক খন্দকার আলী আর রাজী, সুবর্ণা মজুমদার, রেজাউল করিম, রাজীব নন্দী। চবিসাসের আল্টিমেটাম: সাংবাদিক হেনস্তার ঘটনায় তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি। পাশাপাশি পূর্ববর্তী সাংবাদিক হেনস্তার তদন্তাধীন ঘটনাগুলোর বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় পরবর্তীতে বৃৃহৎ কর্মসূচি ঘোষণা দেয় সংগঠনটি। গতকাল রবিবার এক যৌথ বিবৃতিতে চবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মাহবুব এ রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ইমাম ইমু এ ঘটনার বিচার দাবিতে ৩ দিন সময় বেঁধে দেন। একইসঙ্গে মুক্ত গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালনে যাবতীয় প্রতিবন্ধকতা রুখতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান তারা।