ক্ষমতার পরিবর্তনে পালাবদলের হাওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নতুন উপাচার্য হচ্ছেন ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান। আজ মঙ্গলবার এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলে গতকাল জানিয়েছেন শিক্ষা সচিব শেখ আব্দুর রশীদ।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) লোক প্রশাসনে পড়া নিয়াজ আহমেদ খান হবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০তম উপাচার্য। তার পূর্বসূরী অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল গত ১০ আগস্ট পদত্যাগ করেন। ছাত্র–জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর সর্বস্তরের সংস্কারের দাবির মধ্যে সরকারি–বেসরকারি অধিকাংশ দপ্তরের শীর্ষপদে পরিবর্তন আসে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নিয়োগ পাওয়া অন্য উপাচার্যদের মতো অধ্যাপক মাকসুদ কামালকেও সরে যেতে হয়। খবর বিডিনিউজের।
নতুন উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ জন্মগ্রহণ করেছেন ১৯৬৬ সালে। তিনি লোহাগাড়া উপজেলার চুনতির কৃতী সন্তান। চুনতি ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ডেপুটি পাড়ার সাবেক ঊর্ধ্বতন বন কর্মকর্তা ড. শফিক আহমেদ খানের পুত্র। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত এবং এক কন্যা সন্তানের জনক।
নিয়াজ আহমেদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৬ সালে স্নাতক এবং ১৯৮৭ সালে স্নাতকোত্তর করার পর তিনি ইনস্টিটিউট অব পার্সোনেল ম্যানেজমেন্ট থেকে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা করেন। ১৯৯৬ সালে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ওয়েলস, সোয়ানসি থেকে উন্নয়ন অধ্যয়ন বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি পান নিয়াজ আহমেদ খান। পরে ইউনিভার্সিটি অব ওয়েলস, থাইল্যান্ডের এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি এবং অঙফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনটি পোস্ট ডক্টরাল ডিগ্রি নেন। সর্বশেষ ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির উপ–উপাচার্য ছিলেন অধ্যাপক নিয়াজ, ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের দায়িত্বও পালন করেছেন কিছুদিন। তার আগে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ছিলেন।
ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের (এনডিসি) সিনিয়র অ্যাকাডেমিক উপদেষ্টা, ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অফ গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) সিনিয়র অ্যাকাডেমিক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা নিয়াজ আহমেদ খান উন্নয়ন খাতেও কাজ করেছেন। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণ সংঘ আইইউসিএনের বাংলাদেশ প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ ট্রপিক্যাল ফরেস্ট কনজারভেশন (আরণ্যক) ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।
ইউএনডিপি, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) বিভিন্ন পদে চাকরি করার পাশাপাশি জাতিসংঘ, বিশ্ব ব্যাংক, ইউএসএআইডি এবং বাংলাদেশ সরকারের পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন বিভিন্ন সময়ে।