চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসানের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন চবি অফিসার সমিতির নেতৃবৃন্দ। এই দাবিতে গতকাল রবিবার সকাল নয়টার দিকে সংগঠনটির নেতারা রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের ভেতরে অবস্থান নেন। এসময় রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে সমিতির অন্তত ১০জন নেতা অবস্থান নেন।
সমিতির নেতারা বলেন, বেধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে কর্তৃপক্ষ দাবি না মানায় সমিতির নেতৃবৃন্দ রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে অবস্থান নিয়েছেন। অফিসার সমিতি সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণকালীন রেজিস্ট্রার নিয়োগ চেয়ে গত ১৮ ডিসেম্বর উপাচার্য শিরীণ আখতারকে চিঠি দিয়েছিল সমিতি। সেদিন রেজিস্ট্রার নিয়োগের জন্য চার দিন সময় বেধে দিয়েছিলেন সমিতির নেতৃবৃন্দ। দাবি না মানলে ১ জানুয়ারি থেকে আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তারা।
সমিতির নেতাদের অভিযোগ, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের ব্যাপারে আন্তরিক নন। কর্মকর্তাদের বিভিন্ন দাবির বিষয়ে আলোচনা করতে গেলে তিনি কোনো ধরনের সহযোগিতার মনোভাব দেখান না।
সমিতির সভাপতি রাশেদুল হায়দার আজাদীকে বলেন, রেজিস্ট্রারের কাছে কর্মকর্তারা কোনো বিষয় নিয়ে গেলে সহযোগিতা করেন না। তিনি বলেন, এটা আপা জানেন। তিনি কিছু না জানলে ছেড়ে দিক। আর রেজিস্ট্রার পদটি কর্মকর্তাদের পদ। তবে দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত হিসেবে এ দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এতে রেজিস্ট্রারের দপ্তরের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। শুধু রেজিস্ট্রার নয়, আরও যেসব অফিসার পদে শিক্ষক আছেন তাদেরও সরিয়ে দিতে হবে।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ হামিদ হাসান বলেন, রবিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে অবস্থান করেছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসান বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করে আসছি। এখন তারা বলছেন আমি নাকি অযোগ্য। আমি তাদের বারবার বুঝিয়েছি। তারা না যাওয়ায় আমি নিজেই বের হয়ে গেছি। এসব বিষয়ে জানতে উপাচার্য শিরীণ আখতারের মুঠোফোনে কল করে সাড়া পাওয়া যায়নি।