জাতিসংঘ কর্তৃক বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এস.ডি.জি. অগ্রগতি পুরস্কার পাওয়ায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সরকারের ভূমিকা’ শীর্ষক এক বিশেষ সেমিনার গতকাল মঙ্গলবার চবি উপাচার্য দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে ভার্চুয়্যালি বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতারের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর বেনু কুমার দে। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চবি আইকিউএসির পরিচালক প্রফেসর ড.মোহাম্মদ আবুল হোসাইন। চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসানের সঞ্চালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চবি প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া।
ড. আহমদ কায়কাউস তাঁর বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত বিশেষ সেমিনারে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য উপাচার্যের প্রতি
কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। সেমিনারে জ্ঞানগর্ভ, তথ্যনির্ভর ও বিশ্লেষণধর্মী প্রবন্ধ উপস্থাপনের জন্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল হোসাইনকে তিনি ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে তাঁর চিন্তা-চেতনায় ধারণ ও লালন করেন বলেই জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে এবং বাংলাদেশকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে প্রশংসিত হচ্ছে এবং প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ কর্তৃক এ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, দারিদ্র বিমোচনে প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ বিশ্ব দরবারে প্রশংসিত। বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়নে এশিয়ার অন্যান্য দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অনন্য এবং গৃহহীনদের বিনামূল্যে বাসস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণ যা বিশ্বে বিরল। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ট নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশের জনগণের মুখে হাসি ফোটানোর লক্ষ্যে তাঁর গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক পদক্ষেপের মধ্যে অধিকাংশ কাজই সফলতার সাথে সম্পন্ন হয়েছে। তিনি দেশের এ উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে ভূমিকা রাখার আহবান জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।