চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ঝুকিপূর্ণ এলাকা ঝর্ণায় দেয়া নিরাপত্তা দেয়ালের গ্রিল চুরি হয়েছে। কে বা কারা এ চুরি করেছে শনাক্ত করতে পারেননি কর্তৃপক্ষ। গত কয়েকদিনের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন বলে জানিয়েছেন চবি প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া।
তিনি আজাদীকে বলেন, কারা করেছে এটা আমরা জানি না। খোঁজ নিচ্ছি এ ব্যাপারে। ওইটা আসলে নির্জন জায়গা, নিরাপত্তা প্রহরীও নাই ওখানে। রাতের বেলা কেউ তেমন যাওয়ার কথা না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের পিছনে ঝর্ণাটি অবস্থিত। এ ঝর্ণা দেখতে গিয়ে অনেকেই মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এর আগে অনেক বার তারকাঁটার বেড়া দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সর্বশেষ গত বছরের ১৬ অক্টোবর বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে এসে জিসান নামে এক স্কুল ছাত্র এ ঝর্ণার পানিতে মারা যায়। এরপর হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিস ইউনিট এসে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনার পর দেয়াল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। কয়েকদিনের মধ্যে দেয়াল করে দেয়া হয়। সরেজমিনে দেখা যায়, দেয়াল দেওয়ার পরও মানুষ সেখানে যাচ্ছেন। দেয়ালের শেষ মাথা হয়ে ভিতরে ঢুকছেন উৎসুক দর্শনার্থীরা। দেখা যায় সেখানে দেয়ালের চারটি বড় গ্রিল কেটে ফেলা হয়েছে। কাটা গ্রিলগুলো নাই সেখানে।
জানা যায়, ২০২০ সালে মুন্না নামে এক কলেজ ছাত্র মারা যায় এ ঝর্ণার পানিতে। এর আগে ২০১৫ সালে ঝর্ণায় গোসল করতে নেমে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রথম বর্ষের দুই শিক্ষার্থী পাভেল ও রিফাত প্রাণ হারায়। আর এরপরই ঝর্ণা এলাকাটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের চলাচল নিষিদ্ধ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্টি হওয়া পাহাড়ি এ ঝর্ণা অনেকটা দুর্গম এলাকা হওয়ায় এলাকাটিতে লোকজনের আনাগোনা একেবারে নেই বললেই চলে। শুধু স্থানীয়রা চাষাবাদ ও বসবাসকারীদের চলাফেলা রয়েছে সেখানে।












