এইগরমের তীব্রতায় নরকযন্ত্রণা হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের শাটল ভ্রমণ।যে শাটল চবি শিক্ষার্থীদের আবেগ ও ভালবাসার অন্যতম স্থান যেখানে চলে গান, আড্ডা আর সফলতা, ব্যর্থতার নানা গল্প। সেই শাটল হয়ে হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থীদের জন্য এক আতঙ্কের নাম। অবস্থা এমন হয়ে উঠেছে যে, সিটে বসে আসা যাওয়া তো দূরের কথা, একটু আরামে দাঁড়াতে পারলেই মহাখুশী।
কিন্তু শাটলের বগি সংকটের কারণে সেই দাঁড়িয়ে আসাটাই এখন রীতিমতো যুদ্ধে পরিণত হয়েছে। অবস্থা এমন হয়েছে যে চবির ভর্তি যুদ্ধ থেকে শাটলে উঠার যুদ্ধটাই রীতিমতো বড় হয়ে উঠেছে। ২০১৯ সালের ২৪ জুলাই চবিতে এক মতবিনিময় সভায় রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এসিযুক্ত ১৫ বগির একটি ট্রেন দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ২০২০ সালের জুনের আগে এই ট্রেনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে যুক্ত হওয়ার আশা করেছিলেন তিনি। (বাংলানিউজ২৪.কম)। মন্ত্রীর আশাও নিরাশা হয়ে গেল। করোনার কারনে ২০২০ সালের মার্চে বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি ক্লাস বন্ধ হয়ে গেল।যখন ২০২১ সালে ক্লাস শুরু হলো।তখন নতুন ট্রেন পাওয়ার পরিবর্তে আগের যে ডেমু ট্রেন ছিল, সেটাও বন্ধ হয়ে গেল।
শীতকালে কোনভাবেই মানিয়ে নেওয়া যায়। গরমকালে শাটল থেকে ক্লাসে গিয়ে মনে হয় ফুটবল খেলে ক্লাস করতে এসেছি। ঘামে ভিজে গোসল করার মতো অবস্থা হয়ে যায়।বিশেষ করে বটতলী স্টেশন থেকে বিশ্ববদ্যালয়ের দিকে ৭ঃ৩০এবং ৮ টার ট্রেন এবং ফিরতি ১ঃ৩০ এবং ২ঃ৩০ এর ট্রেনে অবস্থা এমন হয় যে নিশ্বাস ফেলার মতো জায়গা থাকে না। উপরের দিকে মুখ করে নিঃশ্বাস ফেলতে হয়। মাথার উপরে ঝুলে আছে পাখাগুলো। কিন্তু পাখাগুলো এখনো পর্যন্ত একদিনও ঘুরতে দেখলাম না। পাখাগুলো চলে না কেন? না চললে এগুলো লাগানো হয়েছে কেন সেই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায় না। আমরা চবি শিক্ষার্থীরা শাটল ট্রেনের নিরাপদ ভ্রমণ চাই। এ ধরণের নরক যন্ত্রণা থেকে বাচঁতে চাই। শাটলের পাখা গুলো যাতে সচল হয় এবং কয়েকটা বগির আরেকটা ট্রেন যাতে দ্রুত যুক্ত হয়। আশা করি যথাযথ কতৃপক্ষ বিষয়টা গুরুত্বের সাথে দেখবেন।
মোহাম্মদ ইয়াছিন উদ্দীন সাকিব.
যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ .
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।