চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিরতা ও বৈষম্য নিরসনে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন ১৪৭ জন শিক্ষক। সচেতন সাধারণ শিক্ষকের ব্যানারে উদ্ধৃত এই বিবৃতিতে তারা দলীয় লেজুড়বৃত্তিক শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধের জন্য ১৯৭৩ অধ্যাদেশের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়ার ও আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের ইতিহাসে ছাত্র রাজনীতি যেমন একদিকে গৌরব আর মুক্তির প্রতীক অন্যদিকে বিগত দশকগুলোতে দলীয় ছাত্র রাজনীতি হয়ে পড়েছে খুন, দখল, চাঁদাবাজি, নির্যাতন আর ভয়ের প্রতীক। দলীয় ছাত্ররাজনীতি চলমান থাকার কারণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা মেধার ভিত্তিতে, বৈধ ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে আবাসিক হলগুলোতে আসন বরাদ্দ পাচ্ছেনা যা তাদের অত্যাবশ্যকীয় অধিকার। দলীয় ছাত্র রাজনীতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনের পর দিন ব্যাহত হয়েছে একাডেমিক কার্যক্রম, যেখানে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা হয়েছেন নৃশংসতা, জিম্মিকরণের শিকার। আরেক দিকে, শিক্ষক রাজনীতির নামে দলীয় ও ব্যক্তিকেন্দ্রিক সমস্যার ট্যাগ লাগাতে হচ্ছে শিক্ষকদের এবং চলছে বিভিন্ন বৈষম্য। দলীয় লেজুড়ভিত্তিক ছাত্ররাজনীতি সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা সম্পূর্ণ হারিয়ে ফেলেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমরা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষকগণ, খুব স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয় লেজুড়বৃত্তির ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হোক। বিবৃতিতে স্বাক্ষর স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে আছেন ড. খাদিজা মিতু, ড. আলাউদ্দিন, ড. অদিতি মোশরেকা হক, অধ্যাপক আর রাজী, সায়মা আলম, ড. অলক পাল, ড. রেজওয়ানুল হক, ড. মোহাম্মদ মশাররফ হোসেন, ড. আদনান মান্নান, ড. রফিকুল ইসলাম, ড. লুলু অয়াল মারজান, ড. এস এম রফিকুল ইসলাম, ড. মাহবুব হাসান, ড. মনজুরুল কিবরিয়া, ড. ইকবাল আহমেদ, ড. শারমিন সুলতানা, ড. নুরুদ্দিন মাহমুদ, ড. আফতাবউদ্দিন, ড. সুমন ভট্টাচার্য, মৌরি দে, ড. অনুপম দাশ গুপ্ত, ড. দিদারুল আলম, ড. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, সায়মা আলম, ড. মোহাম্মদ তারেকুল হাসান চৌধুরী, ড. মোহাম্মদ ফজলুল কাদের, ড. আসমা বিনতে শফিক, ড. অনুপম কুমার দাশ, এইচ এম কামরুল হাসান, তাসনিম মুশাররাত, মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ শিক্ষকবৃন্দ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।