চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের এক কর্মীকে পিটিয়ে জুতার মালা পরিয়ে পুলিশে দিয়েছে শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। গত সোমবার রাত সাড়ে আটটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রণী ব্যাংকের সামনে থেকে তাকে আটক করে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। আটক শাওন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৬–১৭ সেশনের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক সিএফসি গ্রুপের সক্রিয় সদস্য। এছাড়া শাওন আগে ছাত্রদলের এক কর্মীকে মারধরে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ ছাত্রদল নেতাকর্মীদের।
জানা যায়, আটকের পর অগ্রণী ব্যাংকের সামনে থেকে মারধর করে তাকে সেন্ট্রাল ফিল্ডে নিয়ে যায় ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। পরে সেখান থেকে জিরো পয়েন্ট পুলিশ বঙে নেওয়া হয়। পুলিশ বঙে থাকা দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারা ওই ছাত্রলীগ কর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে নিয়ে যান। সেখানে দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
মারধরের শিকার ছাত্রলীগ কর্মী শাওন বলেন, জুলাইয়ে আমি শিক্ষার্থীদের পক্ষে ছিলাম। ৯ তারিখের পরে আমি বাড়িতে চলে যাই। এরপর আন্দোলন নিয়ে কোনো পোস্ট করিনি। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কর্মী শামিম বলেন, ফ্যাসিবাদী আমলে চবিতে ছাত্রদলের তেমন কোনো অবস্থান ছিল না। তবে ছাত্রদলের সঙ্গে আমার গোপন আঁতাত ছিল। এ বিষয়টি শাওন হোসেন জানত। এরপরে আমাকে মারধর করে ও ক্যাম্পাসে আসাতেও বাধা সৃষ্টি করে। তাকে মারধর করা হয়নি। আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ছাত্রলীগ করত তা স্বীকার করে।
মারধরের বিষয়ে চবি শাখা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, সে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হওয়ার কারণে অতীতে ছাত্রদলসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে। গত ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়েও সে নিষিদ্ধ সংগঠনের সক্রিয় কর্মী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। গতকাল তাকে ভুক্তভোগী ছাত্রদলের কর্মীরা দেখলে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের প্রধান ডা. মোহাম্মদ আবু তৈয়ব বলেন, প্যানিক ডিস অর্ডারের কারণে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা থেকে আমরা তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেছি। চবি প্রক্টর প্রফেসর ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সে বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন।