চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। একই ঘটনায় তিন সহকারী প্রক্টরকে দায়িত্ব দিয়ে আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে প্রক্টর অফিস। গতকাল শনিবার তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার মাহবুব হারুন চৌধুরী ও প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার।
মাহবুব হারুন বলেন, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটিতে সোহরাওয়ার্দী হলের প্রভোস্ট ড. শিপক কৃষ্ণ দেব নাথকে আহ্বায়ক, সহকারী প্রক্টর নাজেমুল আলম মুরাদকে সদস্য সচিব এবং আরেক সহকারী প্রক্টর ড. মোরশেদুল আলমকে সদস্য করা হয়েছে। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট প্রদান করতে বলা হয়েছে।
এ ঘটনায় প্রক্টর স্বাক্ষরিত তিন সহকারী প্রক্টরকে নিয়ে আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে আহ্বায়ক হিসেবে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আফজালুর রহমান। এছাড়া সহকারী প্রক্টর রোকন উদ্দিনকে সদস্য ও সৌরভ সাহা জয়কে সদস্য সচিব হিসেবে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে চবি প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার আজাদীকে বলেন, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ব্যবস্থা নিতে প্রক্টর অফিস থেকে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। আরেকটি রেজিস্ট্রার অফিস থেকে করা হয়েছে। কমিটি রিপোর্ট দিলে সেই অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যবস্থা নিবে। বর্তমানে ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে বলে তিনি জানান।
এর আগে শুক্রবার দুপুরে ক্যাম্পাসের একটি খাবার হোটেলে খাওয়ার সময় ডালের বাটি পড়ে যাওয়ার ঘটনায় সংঘর্ষে জড়ায় চবি শাখা ছাত্রলীগের দুই উপগ্রুপের কর্মীরা। এতে উভয় গ্রুপের অন্তত ২০ জন আহত হয়। সংঘর্ষে জড়ানো শাখা ছাত্রলীগের গ্রুপ দুটি হলো সিক্সটি নাইন ও বিজয়। সিক্সটি নাইন গ্রুপটি সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন এবং বিজয় গ্রুপটি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।