চবিতে গত ১৬ বছরের অনিয়ম-দুর্নীতি অনুসন্ধানে ১০ সদস্যের কমিটি

আজাদী প্রদিবেদন | শুক্রবার , ১৫ নভেম্বর, ২০২৪ at ৬:০২ পূর্বাহ্ণ

 

 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) গত ১৬ বছরে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ এবং বিভিন্ন ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ কাজসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক বিষয়ে কোনো দুর্নীতি হয়েছে কিনা তা উদঘাটনে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ১০ সদস্যবিশিষ্ট তথ্য অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গতকাল বৃহস্পতিবার চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়টি জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে সহসা সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৫৬তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় বিগত প্রায় ১৫১৬ বছর ধরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে এবং বিভিন্ন ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ কাজসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক বিষয়ে কোনো অনিয়মদুর্নীতি হয়েছে কিনা, তা উদঘাটনের জন্য উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্‌ইয়া আখতার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তথ্য অনুসন্ধান বিষয়ক একটি কমিটি গঠন করেছেন।

তথ্য অনুসন্ধান কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ও জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো. আতিয়ার রহমানকে সভাপতি করা হয়েছে। এতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন, মার্কেটিং বিভাগের প্রফেসর এস.এম. সালামত উল্যা ভূঁইয়া, রসায়ন বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. রুমানা আক্তার, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ অছিয়র রহমান, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ শাখাওয়াত হুসাইন, আইন বিভাগের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ শাহীন চৌধুরী, অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মোর্শেদুল হক এবং যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাহাব উদ্দিন। এ ছাড়া সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন চবির ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ইউসুফ।

তথ্য অনুসন্ধান কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. মো. আতিয়ার রহমান আজাদীকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের গত সিন্ডিকেটে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে। তা হলো গত ১৬ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে কি পরিমাণ অনিয়মদুর্নীতি হয়েছে, সেটা খতিয়ে দেখা। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আর্থিক হিসাব আসবে। যেমন মেরিন সায়েন্স অনুষদ উদ্বোধনে ৪৪ লাখ টাকার ব্যয়। সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সেমিনারে ১৮ লাখ টাকা ব্যয়এরকম বিষয়গুলো আসবে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো সঠিকভাবে বিষয়গুলো সবার কাছে তুলে ধরার জন্য।

পূর্ববর্তী নিবন্ধক্ষোভে ব্যবসায়ী জসিমকে ৭ টুকরো করেন প্রেমিকা
পরবর্তী নিবন্ধহাসিনাকে রাজনৈতিক বক্তব্যদানে বিরত রাখতে দিল্লিকে ঢাকার আহ্বান