চবিতে আবাসন সংকট : প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে ৮ ঘণ্টা বিক্ষোভ

চবি প্রতিনিধি | সোমবার , ১৮ আগস্ট, ২০২৫ at ৮:১৯ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) আবাসন সংকট নিরসন ও আবাসন ভাতা প্রদানের দাবিতে টানা আট ঘণ্টা বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। গতকাল ১৭ আগস্ট দুপুর দেড়টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত চলা এই বিক্ষোভে প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন তারা। ফলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইয়াহইয়া আখতার, উপউপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, রেজিস্ট্রারসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ভবনের ভেতরে আটকা পড়েন। অবশেষে প্রশাসনের আশ্বাসের ভিত্তিতে রাত সাড়ে ৯টার দিকে শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করে প্রশাসনিক ভবনের তালা খুলে দেন। তবে শিক্ষার্থীরা জানান, দাবি পূরণ না হলে আবারও আন্দোলনে নামবেন তারা।

শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবি : আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা পাঁচ দফা দাবি হচ্ছেশতভাগ আবাসন নিশ্চিতকরণ। আবাসন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আবাসন ভাতা প্রদান। হলে অবৈধভাবে অবস্থানকারীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ। একই শিক্ষার্থীর কাছ থেকে একাধিকবার আবেদন ফি না নেওয়া ও পূর্বে নেওয়া ফি ফেরত দেওয়া। মেয়েদের হলে ডাবলিং প্রথা বাতিল করে ডেকার বেড প্রথা চালু করা।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. ওলফেতুর রহমান রাকিব বলেন, ‘প্রশাসন আমাদের শেষ তিনটি দাবি তাৎক্ষণিক মেনে নিয়েছে। প্রথম দাবিটি মানতে সময় লাগবে বলেছে এবং দ্বিতীয় দাবিটি নিয়ে ইউজিসির সঙ্গে আলোচনা করে ২২ আগস্ট জানাবে। আপাতত আমরা সম্মত হয়েছি, তবে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ হলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।’

উত্তপ্ত পরিস্থিতি ও প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া : আট ঘণ্টা অবরুদ্ধ অবস্থায় ভেতরে থাকা কর্মকর্তাকর্মচারীদের মধ্যে কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিকেল ৫টার দিকে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন, তবে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে তিনি স্থান ত্যাগ করেন। এতে আন্দোলন আরও তীব্র হয় এবং নানা স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।

পরে রাত ৯টার দিকে উপাচার্য ও উপউপাচার্য (একাডেমিক) পুনরায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেন। উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইয়াহইয়া আখতার বলেন, ‘আবাসন সংকট সমাধানে সময় লাগবে, তবে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। আর আবাসন ভাতার বিষয়ে ইউজিসির সঙ্গে আলোচনা করে ২২ আগস্ট জানানো হবে।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধপাচারের ৪০ হাজার কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান এনবিআরের কাছে
পরবর্তী নিবন্ধমাতারবাড়ি ঘিরে বড় পরিসরে কার্যক্রম শুরু হচ্ছে অচিরেই