চবিতে ‘অস্বাস্থ্যকর’ খাবার, ক্যান্টিন বন্ধ করলেন শিক্ষার্থীরা

| শনিবার , ৯ আগস্ট, ২০২৫ at ৮:৪২ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাওল হল ও এ এফ রহমান হলের ক্যান্টিন পচা ও বাসি খাবার বিক্রির অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষার্থীরা। এই অভিযোগে আজ শনিবার দুপুরে তারা ওই ক্যান্টিন তালা লাগিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। একই অভিযোগে ক্যান্টিনের পাশের আরেকটি খাবারের দোকানও বন্ধ করে দেন শিক্ষার্থীরা।

বেলা আড়াইটার দিকে ক্যান্টিনে তালা দেওয়ার পর সেখানে এ এফ রহমান হলের আবাসিক শিক্ষক মোরশেদুল হক, সহকারী প্রক্টর কোরবান আলী, নুরুল হামিদ ক্যানটিন ও খাবারের দোকান পরিদর্শন করেন। এ সময় ক্যান্টিনের ফ্রিজে বাসি খাবার দেখতে পান তাঁরা। এরপর প্রক্টরিয়াল বডি ওই ক্যান্টিন ও পাশের খাবারের দোকানটি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। শিক্ষার্থীদের দুই হলের ডাইনিংয়ে গিয়ে রাতে খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন তাঁরা।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা এ সময় এ এফ রহমান হলের ডাইনিংয়ে আবাসিক শিক্ষক মোরশেদুল হককে নিয়ে অভিযান চালান। অভিযানে ডাইনিংয়ের স্টোররুম ও ফ্রিজ থেকে বেশ কিছু পচা ডিম উদ্ধার করেন তাঁরা।

পাশাপাশি অবস্থিত আলাওল ও এ এফ রহমান হলের একটিই যৌথ ক্যান্টিন রয়েছে। দুই হল ও হলের বাইরে থাকা শিক্ষার্থীরা সেখানে খাবার খান। দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে ওই ক্যান্টিন ও আশপাশের দোকানের খাবারের মান নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে।

শিক্ষার্থী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ক্যান্টিনের কর্মচারীদের পরিচ্ছন্নতার অভাব রয়েছে। পচা ও বাসি খাবার পরিবেশন করা হয়। আজ সকালেও তাঁকে নোংরা খাবার পরিবেশন করা হয়েছে। তিনি প্রতিবাদ করলে ক্যান্টিনের লোকজন বলেন, ‘খেলে খান, না খেলে চলে যান।’

এরপর বেলা আড়াইটার দিকে আলাওল ও এ এফ রহমান হলের শিক্ষার্থীরা এসে ক্যান্টিন ও পাশের খাবারের দোকানে তালা দেন।

শিক্ষার্থী আউয়াল বলেন, ‘দুই মাস আগেও এই ক্যান্টিনের খাবার খেয়ে আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। আজ আবারও পচা–বাসি খাবার দেওয়া হয়েছে এক শিক্ষার্থীকে। তখন আমরা ক্ষুব্ধ হয়ে ক্যান্টিনে তালা দিই।’

তবে ক্যান্টিনের ম্যানেজার হেলাল উদ্দিন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার কথা অস্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন, ফ্রিজে পাওয়া পচা খাবার পরশুর অনুষ্ঠানের বেঁচে যাওয়া। ওই খাবার ফেলে দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল।

পচা ডিম পাওয়া যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে এ এফ রহমান হলের ডাইনিংয়ের ব্যবস্থাপক জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘হলে যে পচা ডিম পাওয়া গেছে, সেগুলো ফেরত দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল। একই ফ্রিজে পচা ও ভালো ডিম ছিল, তবে আলাদা জায়গায় রাখা হয়েছিল।’

শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী প্রক্টর নুরুল হামিদ বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা হল কর্তৃপক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলব। আপাতত এই দোকান ও ক্যান্টিন বন্ধ থাকবে।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম উপকূলে ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ আটজনের মধ্যে ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
পরবর্তী নিবন্ধভুটানের কলেজ ফুটবল ক্লাবে কক্সবাজারের ফুটবলার রিপা