সীতাকুণ্ড চন্দ্রনাথধামে আগামী ৮–১০ মার্চ তিনদিনব্যাপী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শিব চতুর্দশী মেলা শুরু হবে। মেলার সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে গত শুক্রবার বিকেলে সীতাকুণ্ড স্রাইন কমিটি ও মেলা কমিটির সদস্যদের সমন্বয়ে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সীতাকুণ্ড আসনের সংসদ সদস্য এস এম আল মামুন।
এসময় তিনি বলেন, মেলায় মাদক ও চাঁদাবাজি বরদাশত করা হবে না। এ ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসন সতর্ক থাকবে। বাড়বকুণ্ডের বাড়বানল তীর্থ, ছোট দারোগাহাটের লবণাক্ষতীর্থ এবং সীতাকুণ্ড ইকোপার্ক দিয়ে চন্দ্রনাথে যাওয়ার পথে তীর্থযাত্রীদের কাছ থেকে কোনো অর্থ নেয়া যাবে না। চন্দ্রনাথধামে আগত তীর্থযাত্রীরা যাতে সুন্দরভাবে তীর্থ সম্পন্ন করতে পারে তাতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
মেলা ও স্রাইন কমিটি সূত্রে জানা যায়, ফাল্গুনী চতুর্দশী তিথিকে ঘিরে আয়োজিত এ ধর্মীয় উৎসবে প্রতিবছর দেশ–বিদেশের লাখ লাখ তীর্থ যাত্রীর আগমন হয়ে থাকে। ফলে বৃহৎ এ মেলা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা প্রশাসন ও মেলা কমিটির জন্য একটি চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়। সনাতন ধর্মপ্রাণ মানুষের সহযোগিতা, মেলা কমিটি ও প্রশাসনের সমন্বিত প্রচেষ্টায় দীর্ঘকাল ধরে এ মেলাটি অত্যন্ত সুষ্ঠু পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এ বছরও মেলাতে ১০ লাখের অধিক তীর্থ যাত্রীর সমাগম হবে বলে ধারণা মেলা কমিটির।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মেলা কার্যকরী কমিটির সভাপতি কে এম রফিকুল ইসলাম জানান, মেলা আয়োজনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চারশ সদস্যসহ স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে। সীতাকুণ্ড রেল স্টেশনে যাত্রীবাহী প্রতিটি ট্রেন তীর্থযাত্রীদের সুবিধার্থে দাঁড়াবে। এছাড়া মেলাঙ্গণের প্রায় দেড় কিলোমিটার সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত থাকবে। সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সীতাকুণ্ড পৌরসভার মেয়র মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলম, সীতাকুণ্ড থানার ওসি মো. কামাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম সিটি কাউন্সিলর ও সীতাকুণ্ড স্রাইন কমিটির সদস্য পুলক খাস্তগীর, সদস্য অশোক চক্রবর্তী, সীতাকুণ্ড মেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাবুল কান্তি শর্মা, কাউন্সিলর সফিউল আলম চৌধুরী, মেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক বিমল চন্দ্র নাথ, উপজেলা পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কান্তি শর্মা প্রমুখ।