চন্দ্রঘোনা-লিচুবাগান টানা ৩ দিন ফেরি চলাচল বন্ধ

ভোগান্তিতে শত শত মানুষ

কাপ্তাই প্রতিনিধি | রবিবার , ১০ আগস্ট, ২০২৫ at ১০:৫৪ পূর্বাহ্ণ

টানা ৩ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে লিচুবাগানচন্দ্রঘোনা ফেরি চলাচল। ফেরি বন্ধ থাকায় রাঙামাটি জেলা সদরের সাথে বান্দরবান, রাজস্থলী এবং খাগড়াছড়ি জেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে মানুষ যাতায়াত করতে পারছেন না। এর ফলে শত শত মানুষ চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। কবে পুনরায় ফেরী চলাচল শুরু হবে এমন তথ্য ফেরি কর্তৃপক্ষও জানাতে পারেনি।

চন্দ্রঘোনালিচুবাগানে ফেরী চলাচল বন্ধ থাকার কথা নিশ্চিত করে রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী কির্তী নিশান চাকমা বলেন, আমাদের ফেরীর কোনো ত্রুটি নাই। আমরা যেকোনো মুহূর্তে ফেরী চালাতে পারি। কিন্তু কর্ণফুলী নদীতে এখন অস্বাভাবিক স্রোত রয়েছে। এমন স্রোতে ফেরি চালালে ফেরী নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে না। তাই জনস্বার্থে এবং যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়াতে সড়ক ও জনপথ বিভাগ ফেরি চলাচল বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে।

জানা গেছে, কাপ্তাই লেকে বর্তমানে পানি বিপদ সীমার উর্ধ্বে রয়েছে। লেকে বর্তমানে পানির লেভেল রয়েছে ১০৮ ফুট মিন সি লেভেলের (এমএসএল) উপরে। এমন পরিস্থিতিতে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ গত ৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে কাপ্তাই বাঁধের সুরক্ষায় স্পিলওয়ের ১৬টি গেট ৩ ফুট উচ্চতায় খুলে দেয়। আর স্পিল খোলার পর কাপ্তাই লেকের পানি সরাসরি পড়ছে কর্ণফুলী নদীতে। যে কারণে নদীতে স্রোত বেড়ে গেছে এবং পানির উচ্চতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ স্পিল দিয়ে পানি ছাড়া বন্ধ না করা পর্যন্ত চন্দ্রঘোনা লিচুবাগন ফেরি চলাচল শুরু করা সম্ভব হবে না।

এদিকে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান বলেন, কাপ্তাই লেকে এখনো পানির উচ্চতা রুলকার্ভের চেয়ে বেশি রয়েছে। এছাড়াও এখনো রাঙামাটির বিভিন্ন পয়েন্টে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বৃষ্টির পানি এবং পাহাড়ের অসংখ্য ঝর্ণাধারা থেকে পানির ধারা কাপ্তাই লেকে এসে পড়ছে। এর ফলে পানির উচ্চতা হ্রাস তো পাচ্ছেই না বরং বাড়তির দিকে থাকে। তাই স্পিলওয়ের ১৬টি গেট কখনো ৩ ফুট আবার কখনো আড়াই ফুট বা আরো কম বেশি পরিমাণে খোলা রাখা হচ্ছে। এছাড়াও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে পুরোদমে সচল রয়েছে। যে কারণে কর্ণফুলী নদীতে পানির স্রোত ও উচ্চতা বাড়তি রয়েছে বলেও তিনি জানান। পানির লেভেল ১০৭ ফুট এমএসএলের নিচে নেমে আসলেই কাপ্তাই লেক থেকে পানি ছাড়া বন্ধ করা হবে বলেও তিনি জানান। অবশ্য সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ যেকোনো সময় যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলেও তিনি জানান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধতারেক রহমান আমাদের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী : ফখরুল
পরবর্তী নিবন্ধ৭৮৬