রাঙামাটি পার্বত্য জেলার কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা থানায় আজ মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যায় স্থানীয় দুই আঞ্চলিক দলের মধ্যে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
এই গুলি বিনিময়ের ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
সন্ধ্যা ৬টা থেকে টানা প্রায় আধা ঘণ্টা গুলির শব্দ শোনা যায়।
উভয় দলের মধ্যে ২০ থেকে ২৫টি করে গুলি ছোড়া হয় বলেও জানা গেছে।
চন্দ্রঘোনা থানা এলাকার ২নং রাইখালী ইউনিয়নের মেম্বার মো. সেলিম জানান, রাইখালী ইউনিয়নের দুর্গম নোয়াপাড়া এলাকা থেকে গুলির শব্দ শোনা গেছে।
এ ব্যাপারে চন্দ্রঘোনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী আজ মঙ্গলবার রাত ১০টার সময় জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে ডলুছড়ির নোয়াপাড়া এলাকায় গোলাগুলি হচ্ছে খবর পাওয়ার সাথে সাথে থানা থেকে পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। রাত সোয়া ১০টা পর্যন্ত পুলিশ সদস্যরা থানায় ফিরে আসেনি। এ কারণে সেখানকার সার্বিক পরিস্থিতি স্পষ্ট জানা যায়নি। তবে গোলাগুলির ঘটনা ঘটলেও মোট কয় রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়েছে এবং কোন পক্ষ কতটি গুলি ছুড়েছে তা জানা যায়নি।
আর এই গোলাগুলির ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলেও বিশেষ সূত্রে জেনেছেন বলে জানান ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী।
তিনি স্থানীয় জনগণকে ভীত বা আতঙ্কিত না হওয়ারও পরামর্শ দেন। এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং সাধারণ জনগণের জানমাল সুরক্ষায় পুলিশ টহলে থাকবে বলেও জানান তিনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জানান, অতীতে রাইখালীতে অনেকবার গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এসব গোলাগুলিতে মানুষ খুন হয়েছে। এখানে অপহরণের ঘটনাও ঘটেছে। তাই গোলাগুলির শব্দ হলেই সবাই ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।