চন্দনাইশ থেকে শিশু অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার তিন দিনের মাথায় কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানার কুতুপালং বালুখালি রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অপহৃত শিশুকে উদ্ধার করেছে চন্দনাইশ থানা পুলিশ।
এসময় অপহরণকারীকেও গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আজ বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে চন্দনাইশ থানার ওসি (তদন্ত) মজনু মিয়ার নেতৃত্বে একদল পুলিশ আর্মড পুলিশের সহায়তায় এ অভিযান পরিচালনা করে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসার পর কক্সবাজারের বালুখালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থান নেয়া মো. জোবায়ের (২৫) নামে এক রোহিঙ্গা উপজেলার বৈলতলী বশরতনগর এলাকায় আসে। সেখানে বিগত ১৫ দিন পূর্বে স্থানীয় বানু মিয়ার বাড়িতে কৃষি ও বাড়ির কাজ করার উদ্দেশে মৌখিক চুক্তিতে চাকরি নেয়।
এ সুযোগে সে বাড়ির সবার সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে এবং বানু মিয়ার ৬ বছরের শিশু পুত্র ইমাম হোসেনকে অপহরণের সুযোগ খুঁজতে থাকে।
এসময়ের মধ্যে সে শিশু ইমাম হোসেনকে আদর সোহাগ করতো এবং বিভিন্ন সময় চকলেট, বিস্কুট, চিপস্ কিনে দিত। এক পর্যায়ে গত ২০ ডিসেম্বর শিশু ইমাম হোসেনকে পাশের দোকান থেকে খাওয়ার জিনিস কিনে দেয়ার কথা বলে বিকেলে ঘর থেকে বের করে এনে কক্সবাজার বালুখালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়ে আসে।
পরে তার পরিবারে ফোন করে ৮ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে জোবায়ের। অন্যথায় শিশু ইমামকে খুন করার হুমকি দেয়।
এ ব্যাপারে শিশু ইমামের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর চন্দনাইশ থানা পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তাদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে আজ বুধবার দুপুরে বালুখালি রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অপহৃত শিশুকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
চন্দনাইশ থানার ওসি (তদন্ত) মজনু মিয়া জানান, শিশু অপহরণের অভিযোগ পাওয়ার পর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তাদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মাজহারুল হকসহ তিনি নিজে বিগত ২ দিন ধরে কক্সবাজার বালুখালি এলাকায় অবস্থান নেন। পরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্ব পালনকারী আর্মড পুলিশ ও উখিয়া থানা পুলিশের সহায়তায় আজ বুধবার দুপুরে অপহৃত শিশুকে উদ্ধার এবং অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন।
চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন সরকার জানান, আইনী প্রক্রিয়া শেষে উদ্ধারকৃত শিশু ইমাম হোসেনকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর এবং অপহরণকারী মো. জোবায়েরকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।