চন্দনাইশে সীমানা বিরোধকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মারামারিতে নারীসহ কমপক্ষে ৬ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় ৪ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ শনিবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের বেপারী পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বেপারী পাড়ায় সীমানা বিরোধ নিয়ে কুসুম কান্তি বড়ুয়া ও আশীষ কান্তি বড়ুয়া পাভেলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ ব্যাপারে আদালতে মামলাও চলমান রয়েছে।
আজ শনিবার বিকেলেও উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির জের ধরে পুনরায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে একপক্ষে কয়েকজন মুসলিমও অংশ নেয়।
সংঘর্ষের সময় উভয়পক্ষের নারীসহ কমপক্ষে ৬ জন আহত হয়। আহতরা হলো কমল কান্তি বড়ুয়ার ছেলে কুসুম কান্তি বড়ুয়া (৬৮), তার স্ত্রী বিভু রাণী বড়ুয়া (৪০), পুত্র নিশান বড়ুয়া (২১), মেয়ে নিপা বড়ুয়া (২৫), সাতবাড়িয়া মাস্টার বাড়ির মৃত আবুল খায়েরের পুত্র জহির উদ্দীন হিরু (৪৩), সাতবাড়িয়া হাজিরপাড়ার মনির আহমদের পুত্র মোহাম্মদ আমিন (২৫)। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে চন্দনাইশ হাসপাতালে নেয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতদের মধ্যে কুসুম কান্তি বড়ুয়া, বিভু রানী বড়ুয়া, জহির উদ্দীন হিরু ও মোহাম্মদ আমিনকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
ঘটনার খবর পেয়ে চন্দনাইশ থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহত কুসুম কান্তি বড়ুয়ার পুত্র জয়তু বড়ুয়া জানান, উক্ত বিরোধীয় জায়গা নিয়ে বিগত ২ বছর পূর্ব থেকে সিভিল কোর্টে মামলা চলমান রয়েছে। আজ বিকেল ৩টার দিকে বেশ কয়েকজন তাদের বাড়িতে অতর্কিতে হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীদের ছুরিকাঘাতে বাড়িতে থাকা তার পিতা, মাতা, ভাই ও বোন ৪ জনই আহত হয়।
আশীষ কান্তি বড়ুয়া পাভেলের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় ঘটনার ব্যাপারে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দীন সরকার বলেন, “সাতবাড়িয়া বেপারী পাড়ায় সীমানা বিরোধ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। মারামারির ব্যাপারে থানায় কোনো পক্ষ থেকে অভিযোগ দেয়া হয়নি।”
অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান ওসি।












