চন্দনাইশে দ্রুতগতির হাইচের ধাক্কায় এক পথচারী ও দ্রুতগতির যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় এক মোটরসাইকেল আরোহীসহ ২ জন নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন পথচারী নিখিল পাল (৪৫) ও মোটরসাইকেল আরোহী মোঃ ইকবাল হোসেন সিকদার (৩৩)। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ও বিকেলে ৫ ঘন্টার ব্যবধানে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার জাতীয় মহাসড়কের হাশিমপুর বাইন্যাপুকুর পাড় এলাকায় পৃথক এ দুটি ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়ভাবে জানা যায়, উপজেলার হাশিমপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডস্থ পালপাড়া গ্রামের বিপদ ভঞ্জন পালের ছেলে নিখিল পাল একটি সনদ নিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে হাশিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে যান। সনদ নিয়ে বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে মহাসড়ক পার হওয়ার সময় কক্সবাজারগামী বেপরোয়া গতির একটি হাইচ তাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। হাইচের ধাক্কায় রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে যান। পরে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে দোহাজারী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের ভাগিনা সেবক পাল সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। নিহত নিখিল ১ ছেলে ও ১ মেয়ের জনক।
এদিকে একই স্থানে ৫ ঘন্টার ব্যবধানে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী মোঃ ইকবাল হোসেন সিকদার নিহত হয়। নিহত ইকবাল হোসেন সিকদার এনজিও সংস্থা ‘ব্যুরো বাংলাদেশ’ এর চন্দনাইশ শাখা ব্যবস্থাপক। সে টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর ইউনিয়নের সবুজ শিকদারের ছেলে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় আহত হয় একই এনজিও’র কর্মী জাবেদ হোসেন (২৮)।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে চট্টগ্রামমুখী ঈগল পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ও দোহাজারীমুখী মোটরসাইকেলের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেল আরোহী মোঃ ইকবাল হোসেন (৩৩) ও জাবেদ হোসেন (২৮) গুরুতর আহত হয়। এসময় স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তৃব্যরত চিকিৎসক ইকবাল হোসেনকে মৃত ঘোষনা করেন। অপর আহত জাবেদ হোসেনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত জাবেদ টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতি উপজেলার সেহেরাইল এলাকার ময়না মিয়ার ছেলে।
দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও মোটরসাইকেলটি বর্তমানে দোহাজারী হাইওয়ে থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। দোহাজারী হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মতিন বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।