চন্দনাইশে মাটি ও পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে অভিযান

২ মাসে ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২ at ৫:১৮ পূর্বাহ্ণ

শুকনো মৌসুমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বেড়ে যায় মাটি ও পাহাড় কাটার প্রবণতা। চন্দনাইশ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা দুর্গম পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় এ সকল স্থানেও মাটি ও পাহাড় কর্তনের প্রবণতা দেখা যায়। কিছু ভূমিদস্যু এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এ সকল কাজ গোপনে করে থাকে। তবে এই মাটি ও পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে চন্দনাইশ উপজেলা প্রশাসনের তৎপরতা প্রশংসনীয় এবং চোখে পড়ার মতো।

বর্তমানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিয়মিতভাবে এ ব্যাপারে মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করছেন। গত ২ মাসে চন্দনাইশে ৭টি মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে এবং ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে প্রভাবশালী মহল ও ভূমিদস্যুরা বর্তমানে আতঙ্কে আছে বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাছরীন আক্তার বলেন, এ সময়টাতে মাটি ও পাহাড় কাটার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এর বিরুদ্ধে আমি এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিয়মিত মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করছি। অভিযোগ পেলেই তৎক্ষণাৎ অভিযান পরিচালনা করে জরিমানাসহ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। গত ২ মাসে আমরা ৭টি মামলায় মোট ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেছি। আমরা প্রতিয়িত অভিযান পরিচালনা করছি। উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা দুর্গম এলাকা হওয়ায় অনেক সময় আমরা দোষী ব্যক্তিকে খুঁজে পায় না। এরপরও মাটি কাটা এবং পাহাড় কাটার বিষয়ে তৎপর আছি ও নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিমরান মোহাম্মদ সায়েক বলেন, আমি এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় সমন্বিতভাবে এ বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করছি। মাটি কাটা এবং পাহাড় কাটার ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স’ পলিসি অবলম্বন করছি। দিনরাত যখনই মাটি বা পাহাড় কাটার খবর আসছে আমরা তখনই অভিযান পরিচালনা করছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচুয়েটের সাথে বিডিরেনের ক্যাম্পাস নেটওয়ার্ক বিষয়ক চুক্তি স্বাক্ষর
পরবর্তী নিবন্ধঅসহায়দের সাহায্যে এগিয়ে আসতে হবে