চন্দনাইশে বনদস্যুদের (গাছ চোর) হামলায় পটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তাসহ ৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। সংঘবদ্ধ একটি গাছ চোরের দল বনের গাছ কেটে পাচার করছে এমন সংবাদ পেয়ে গতকাল শুক্রবার রাত ১০ টার সময় বনবিভাগ পটিয়া রেঞ্জের আওতাধীন বরগুনি বিট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় গাছ চোর সিন্ডিকেট সংঘবদ্ধ হয়ে অতর্কিত আক্রমণ চালায় বনবিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপর।
জানা যায়, চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভার জামিজুরী গুচ্ছগ্রাম হাফছড়িকুল এলাকায় একদল বনদস্যু গতকাল শুক্রবার রাতে বনের গাছ কেটে পাচারের সংবাদ পেয়ে বনবিভাগ পটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. এমদাদুল হকের নেতৃত্বে ১০ জনের দল অভিযানে যায়।
এ সময় বনদস্যুরা অভিযানের খবর পেয়ে সংঘবদ্ধ আক্রমণ চালায় বন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপর। এ সময় বনদস্যুরা পটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. এমদাদুল হক, বনরক্ষী লোকমানের মাথায় ধারালো দা দিয়ে কোপ দেয়। এ সময় হামলাকারীদের দা ও লাঠির আঘাতে বনরক্ষী মাহাবুবসহ আরো ২ জন সিএনজিচালক ও ১ জন পিকআপ চালকও গুরুতর আহত হয়।
হামলার সময় অপরাপর বনরক্ষীরা ৩/৪ রাউন্ড ফাঁকা ফায়ার করে জঙ্গলের মধ্যে দিকবিধিক পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পায়। পরবর্তীতে পটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মোবাইল ফোনে হামলার বিষয়টি দোহাজারী রেঞ্জ অফিসে অবহিত করার পর দোহাজারী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম দ্রুত চন্দনাইশের অস্থায়ী আর্মি ক্যাম্প ও চন্দনাইশ থানায় অবহিত করেন।
পরবর্তীতে চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমরান আল হোসাইন চন্দনাইশে দায়িত্বরত সেনাবাহিনীর মেজর মেহেদীর সাথে আলোচনার শেষে বন বিভাগের লোকদের উদ্ধার অভিযানের প্রস্তুতি নেন। ইতিমধ্যে হামলার শিকার ৪ জন সুস্থভাবে আর্মি ক্যাম্পে ফিরে আসে।
বনবিভাগ দোহাজারী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম জানান, পটিয়া রেঞ্জের আওতাধীন বরগুনি বিটের দোহাজারী জামিজুরী গুচ্ছ গ্রাম হাফছড়িকুল এলাকায় গাছ কাটার সংবাদ পেয়ে শুক্রবার রাতে পটিয়া রেঞ্জ অফিসার এমদাদুল হক, বরগুনি বিট অফিসার রহমতসহ বনরক্ষীরা অভিযানে যান।
অভিযান টের পেয়ে গাছ চোরের দল অতর্কিত বন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপর হামলা চালায়। এ সময় পটিয়া রেঞ্জ অফিসার এমদাদুল হক ও বনরক্ষী লোকমানের মাথায় ধারালো দা দিয়ে কোপ দিলে গুরুতর যখম হয়।
এ সময় গাছ চোরেরদলের হামলায় ২ জন সিএনজি চালক ও ১ জন পিকআপ চালকও গুরুতর আহত হয়।
অন্যান্য বনরক্ষীরা পালিয়ে কোন প্রকারে প্রাণে রক্ষা পায়। আহতদের পটিয়া হাসপাতালে নেয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য রেঞ্জ অফিসার এমদাদ ও বনরক্ষী লোকমানকে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত সিএনজি ও পিকআপ চালককেও উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।