চন্দনাইশের দোহাজারী মাস্টারঘোনা-চিরিংঘাটা-ধোপাছড়ি সড়কের কেয়ারখোলা নামক স্থানে পাহাড়ে গত কয়েকদিন ধরে আগুন জ্বলছে।
এতে বিভিন্ন প্রজাতির বনজ ও ফলদ বাগান নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে।
আজ বুধবার বিকেলেও ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন জ্বলার এমন চিত্র দেখা যায়।
স্থানীয়ভাবে জানা যায়, প্রতি শুকনো মৌসুমে পাহাড়ে আগুন লাগে। এতে বিস্তীর্ণ পাহাড় পুড়ে অনেকটা ন্যাড়া পাহাড়ে পরিণত হয়। তেমনি চলতি মৌসুমেও গত কয়েকদিন আগে হঠাৎ করে কেয়ারখোলা নামক স্থানে পাহাড়ে আগুনের সুত্রপাত হয়।
চৈত্র-বৈশাখ মাসের আগে পাহাড়ের মাঠিতে শুকনো পাতা ও কাঠ পড়ে থাকায় একবার আগুন লাগলে তা পাহাড়ের পর পাহাড় গ্রাস করে নেয় কিন্তু কী কারণে পাহাড়ে আগুন লাগে বনবিভাগ তা পরিস্কার করে বলতে পারেনি।
আজ বুধবার(২ মার্চ) বিকেলে সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, পাহাড়ের চূড়া থেকে নিচু পর্যন্ত দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে বিস্তীর্ণ বনজ ও ফলদ বাগান।
আগুনে পুড়ে ধ্বংস হচ্ছে পশু খাদ্য ও বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে অসংখ্য বন্যপ্রাণী, পাখি ও কীটপতঙ্গ।
স্থানীয়রা জানায়, শুকনো এ সময়ে পাহাড়ে বিভিন্ন পাক-পাখালী ও বন্যপ্রাণী বাচ্চা দেয়। আগুনে অধিকাংশ পাক-পাখালী ও বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল পুড়ে ধ্বংস হয়ে যায় এবং সেগুলো মারা পড়ে। পুড়ে ছাই হয়ে যায় বিভিন্ন ফলদ বাগানও। এতে মারাত্মকভাবে ক্ষতি হয় জীব-বৈচিত্র্যের, সৌন্দয্য হারাচ্ছে সবুজ পাহাড়।
বনবিভাগ দোহাজারী রেঞ্জের রেঞ্জার সিকদার আতিকুর রহমান জানান, কী কারণে পাহাড়ে আগুন লেগেছে তারা সঠিকভাবে জানেন না। তবে আগুন লাগার বিষয়টি জানতে পেরে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেছেন এবং সন্ধ্যার আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
কীভাবে আগুন লেগেছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “পাহাড়ে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ আসে। কেউ আসে পাহাড়ি শণ কাটতে, কেউ আসে লাকড়ি আহরণ করতে। আবার কেউ কেউ আসে ঘুরতে। তাদের মধ্য থেকে ছুড়ে ফেলা বিড়ি-সিগারেটের আগুন থেকেই পাহাড়ে আগুন লাগতে পারে।”