চন্দনাইশ পৌরসভার মধ্যবর্তী বরুমতি খালের পাড়ে নবনির্মিত প্রয়াত শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত বৈঠকখানা উদ্বোধন করলেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। গতকাল শুক্রবার বাদে জুমা তিনি উক্ত বৈঠকখানার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
জানা যায়, ১৯৮০ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশব্যাপী খাল কাটার অংশ হিসেবে চন্দনাইশের বরুমতি খাল পুনঃখনন কাজের উদ্বোধন করে খাল কাটায় অংশগ্রহণ করেন এবং তিনি বরুমতি খালের পাড়ে বসে বিশ্রাম নেন। কালের বিবর্তনে বৈঠকখানাটি হারিয়ে যায়। পরবর্তীতে বৈঠকখানাটি আধুনিকভাবে তৈরি করার উদ্যোগ নেন জেলা বিএনপি নেতা মো. ইখতিয়ার হোসেনসহ উপজেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ। বিষয়টি চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনকে অবহিত করার পর তিনি ৫ লাখ টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক বৈঠকখানাটি নির্মাণ করেন। প্রায় ২ মাস কাজ শেষে দৃষ্টিনন্দন বৈঠকখানাটি নির্মাণ করা হয়। বৈঠকখানার নির্মাণের পাশাপাশি ওই স্থানের কৃষকদের পানি পান করার সুবিধার্থে একটি ডিপ টিউবওয়েলও স্থাপন করা হচ্ছে।
বৈঠকখানা উদ্বোধনকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দেশপ্রেম, সততা এবং অর্থনৈতিক মুক্তির দর্শন আজও সমান প্রাসঙ্গিক। জাতীয় অর্থনীতির ভিত্তি কৃষি, গার্মেন্টস ও মানবসম্পদ উন্নয়নের যে দর্শন তিনি দিয়েছিলেন, তাই আজকের সংকট উত্তরণের মূল চাবিকাঠি। শহীদ জিয়ার নির্দেশিত কৃষি বিপ্লব আমাদের খাদ্য স্বনির্ভরতার পথে নিয়ে গিয়েছিল। যদি আমরা আবারও অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করতে চাই, তবে তার দর্শনে ফিরে গিয়ে কৃষি ও উৎপাদনমুখী অর্থনীতিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। শহীদ জিয়ার খাল খনন কর্মসূচি ছিল অর্থনৈতিক মুক্তির দর্শন।
শাহাদাত বলেন, খাল খনন কর্মসূচি বাংলাদেশের গ্রামীণ উন্নয়ন ও কৃষি সম্প্রসারণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিল। দেড় বছরে এক হাজার ৫০০টির বেশি খাল খনন ও পুনরুদ্ধার করা হয়েছিল, যা সেচ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছিল। ১৯৭৯–১৯৮১ সালের মধ্যে মোট ২৭৯টি প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় তিন হাজার ৬৩৬ মাইল খাল খনন করা হয়। যে খাল খনন কর্মসূচির ফলে ১৯৮০ সালে খাদ্য উৎপাদন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়। এই কর্মসূচি গ্রামীণ স্বনির্ভরতা বাড়াতে সহায়ক ছিল।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির পরিবার পরিকল্পনা সম্পাদক ডা. মহসিন জিল্লুর রহমান, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. ইদ্রিস মিয়া, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাকালীন যুগ্ম সম্পাদক বিচারপতি আবদুস সালাম মামুন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. ইখতিয়ার হোসেন, জসিম উদ্দিন, খন্দকার হেলাল উদ্দিন সিআইপি, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মনজুর আলম তালুকদার, চন্দনাইশ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুর রহমান খাঁন, বাহাউদ্দীন চৌধুরী, সাইফুল করিম, আরিফুর রহমান মারুফ, চন্দনাইশ পৌরসভা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জহুরুল আলম শহীদ, অলি হোসেন মুন্সি, মোরশেদুল আলম, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলাম, আবু ছালেক, মুজিবুর রহমান, হাবিবুর রহমান, নাজিম উদ্দিন, সেলিম উদ্দীন, পৌরসভা যুবদলের আহ্বায়ক আজম খাঁন, সদস্য সচিব শহীদুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম আল দ্বীন, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. বখতিয়ার, দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল করিম সোহেল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোনায়েম খাঁন, সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।