চন্দনাইশে পাহাড়ি সড়কে মটর সাইকেল যাত্রীদের মারধর ও টাকা ছিনতাই

চন্দনাইশ প্রতিনিধি | সোমবার , ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ at ৭:৫৭ পূর্বাহ্ণ

চন্দনাইশের পাহাড়ি জনপথ ধোপাছড়ি ইউনিয়নের সাথে উপজেলা সদরের সড়ক যোগাযোগের অন্যতম সহজ মাধ্যম দিয়াকুলচিরিংঘাটাধোপাছড়িবান্দরবান সড়ক। এই সড়কটি দিয়ে ধোপাছড়িবাসী স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াত করে থাকে। কিন্তু সড়কটি যেন দিন দিন অনিরাপদ হয়ে উঠছে ধোপাছড়িবাসীর জন্য। গত শনিবার রাতে উক্ত সড়কের চিরিংঘাটা সীমান্ত এলাকায় মুখোশ পরিহিত ৮১০ জনের অজ্ঞাত একটি গ্রুপ সড়কে চলাচলরত কয়েকটি যাত্রীবাহী মটর সাইকেল আটকিয়ে যাত্রী ও চালকদের বেদম মারধর করে। তারা যাত্রীদের কাছে থাকা মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেয়।

ধোপাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবদুল আলীম জানান, গত শনিবার রাত ৯টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত মুখোশ পরিহিত ৮১০ জনের একটি গ্রুপ একে একে ৩টি মটর সাইকেল আটকিয়ে ৮ জন নিরীহ মানুষকে বেদম মারধর, দা দিয়ে কুপিয়ে ও হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। আহতরা হলেন ধোপাছড়ি ইউনিয়নের বোরহান মিয়া (২৬), আবদুল গফুর (৫০), আবদুল সবুর (৪৮), নুরুল আমিন (৫২), নুর হোসেন (৩৮), মোরশেদ আলম (২২) ও মোহাম্মদ মিজান (২৮) এবং অপরজনের বাড়ি সাতকানিয়ার শীলঘাটা এলাকায়। তার নাম জানা যায়নি। ইউপি চেয়ারম্যান আরো জানান, ছিনতাইকারীরা হাফপ্যান্ট পরা ছিল এবং সবার মুখে ছিল মুখোশ। রাত ৯টার পর ৩টি মটর সাইকেলসহ গভীর জঙ্গলে নিয়ে মটর সাইকেল আরোহীদের গাছের সাথে বেঁধে রাখে। সর্বশেষ রাত ১১টার দিকে সন্ত্রাসী গ্রুপটি ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার পর বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা এসে আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়। এদের মধ্যে বোরহান মিয়া, নুর হোসেন ও আবদুল সবুরকে কেরানীহাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বোরহান মিয়া গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় গতকাল রবিবার ওই হাসপাতালে তার দুই হাঁটুতে অপারেশন করা হয়। রোহিঙ্গারাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তিনি ধারণা করছেন। তিনি উক্ত সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী ধোপাছড়িবাসীদের যানমালের নিরাপত্তার জন্য এধরনের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।

ধোপাছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আনোয়ার হোসেন জানান, পুলিশ গতকাল রবিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলেছে। কিন্তু কেউ তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেনি। তবে কারা এ অপরাধ করেছে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনারও চেষ্টা চলছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদিনভর দুর্ভোগ, বিকালে প্রত্যাহার
পরবর্তী নিবন্ধআরো দেড় হাজার কোটি টাকা লোকসান গুনল এনবিএল