চন্দনাইশে পরকীয়া প্রেমিকার ঘরে প্রেমিকের লাশ

চন্দনাইশ প্রতিনিধি | শুক্রবার , ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ১০:০৯ অপরাহ্ণ

চন্দনাইশে পরকীয়া প্রেমিকার ঘর থেকে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত প্রেমিকের নাম জাহিদুল ইসলাম (১৯)।
আজ শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার দুর্গম ধোপাছড়ি ইউনিয়নের ক্যাম্পপাড়া থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সহকারী পুলিশ সুপার (আনোয়ারা সার্কেল) মো. হুমায়ুন কবির।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ক্যাম্পপাড়া এলাকার মৃত আবদুল ছালামের স্ত্রী চার সন্তানের জননী দিলুয়ারা বেগম(৪০)-এর ঘরে যাওয়া-আসা ছিল একই এলাকার মৃত আয়ুব আলীর পুত্র জাহিদুল ইসলাম(১৯)-এর।
সেই সুবাদে তার ঘরে তিনি কাজকর্মও করতেন। এক পর্যায়ে দিলুয়ারা বেগমের সাথে জাহিদুল ইসলামের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
স্থানীয়রা আরো জানান, দিলুয়ারা বেগমের ১ম স্বামী আবদুল ছালাম মারা যাবার পর ২য় বিয়ে করেছিলেন তিনি কিন্তু দীর্ঘ ৭ বছর ধরে দ্বিতীয় স্বামীর সাথে কোনো রকম যোগাযোগ নেই তার।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার জাহিদুল ইসলাম নিজের ঘর থেকে বের হওয়ার পর আর ঘরে ফিরে আসেননি।
জাহিদুল ঘরে না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাদের সকল আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে খোঁজ নেন।
পরবর্তীতে আজ শুক্রবার সকালে দিলুয়ারা বেগমের ঘরে খোঁজ নিতে গেলে তার বসতঘরের বারান্দায় জাহিদুল ইসলামের লাশ দেখতে পান তারা।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জাহিদুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।
এদিকে দিলুয়ারা বেগম চন্দনাইশ থানায় গিয়ে তার বসতঘরে জাহিদুল ইসলামের লাশ পড়ে থাকার বিষয়টি পুলিশকে জানায় এবং সন্দেহ হলে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আটক করে।
এ ব্যাপারে নিহত জাহিদুল ইসলামের বড় ভাই সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, দিলুয়ারা বেগম তার ভাইকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। এ ব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ধোপাছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বেলাল উদ্দীন বলেন, “স্থানীয়দের কাছ থেকে ঘটনাটি জানতে পেরে সকালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জাহিদুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করি।”
চন্দনাইশ থানার ওসি (তদন্ত) মজনু মিয়া বলেন, “স্থানীয়দের সাথে আলাপ করে দিলুয়ারা বেগমের সাথে নিহত জাহিদুল ইসলামের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি জানতে পারি। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন আসামী হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিলুয়ারা বেগমকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।”
পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হলে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভালবাসা দিবস ঘনিয়ে আসতেই ভিড় বাড়ছে কক্সবাজারে
পরবর্তী নিবন্ধবাঁশখালীতে আগুনে অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি