চন্দনাইশে ডাম্পার চালক মো. আরিফুল ইসলাম (২৮) হত্যাকান্ডে জড়িত আরেক আসামিকে গ্রেফতার করেছে চন্দনাইশ থানা পুলিশ। তার নাম মো. শুক্কুর (২২)। গ্রেফতার শুক্কুর কক্সবাজার সদরের কুতুবদিয়াপাড়ার মো. আলীর পুত্র।
গ্রেফতার শুক্কুর হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। এর আগে গতকাল বুধবার ভোররাতে শুক্কুরকে উপজেলার রওশনহাট বটতলস্থ ভাড়া বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, গত ১ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে ডাম্পার চালক আরিফুল ইসলামের বস্তাবন্দি মরদেহ উপজেলার উত্তর হাশিমপুরস্থ সড়ক ও জনপথ অফিস সংলগ্ন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পূর্ব পাশের পুকুর পাড় থেকে উদ্ধারের পর ওইদিন রাতেই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী মো. আজিজ(২২)কে কক্সবাজার সদর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আজিজ গত ২ নভেম্বর আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বেচ্ছায় হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
তার স্বীকারোক্তিমতে গতকাল বুধবার ভোররাতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপর আসামি মো. শুক্কুরকেও উপজেলার রওশনহাট বটতলস্থ ভাড়া বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গ্রেফতারকৃত শুক্কুরকে জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শাহরিয়ার ইকবালের আদালতে হাজির করা হলে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।
উল্লেখ্য, ডাম্পার চালক আরিফুল ইসলাম(২৮)কে গত ২৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় টাকার লোভে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে তারই ঘনিষ্ট বন্ধু মো. আজিজ, মো. শুক্কুর ও জোহারসহ অন্যরা।
আরিফকে হত্যার পর তার কাছে থাকা নগদ ৪০ হাজার টাকা নিয়ে তার মরদেহ বস্তাবন্দি করে ৪ তলা ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দেয়া হয় ডোবায়।
আরিফের কোনো খবর না পেয়ে অনেক খোঁজাখুঁজির পর পরিবারের পক্ষ থেকে তার ভাই মো. হামিদ বাদি হয়ে গত ৩০ অক্টোবর চন্দনাইশ থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করেন।