চন্দনাইশে প্রাইভেট কারের লুকিং গ্লাস ভাঙাকে কেন্দ্র করে বিদেশী (চীনা) নাগরিক বহনকারী বাসে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় নাহিদ (২৮) নামে এক কার চালককে গ্রেপ্তার করেছে চন্দনাইশ থানা পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার কাঞ্চননগরস্থ জাহাঙ্গীরের আইপিএস দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে চন্দনাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা যায়, আজ বৃহস্পতিবার চীনা নাগরিকবাহী সেঁজুতি ট্রাভেলসের একটি বাস (নং-ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-৭৭৯১) কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে। পথিমধ্যে দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটের সময় চীনা নাগরিক বহনকারী বাসটি উপজেলার কাঞ্চননগর এলাকায় পৌছলে একইমুখী অপর একটি প্রাইভেট কার (নং-ঢাকা মেট্রো-গ-৪৩-৫৭৮০) বাসটিকে অতিক্রম করার সময় বাসের সাথে লেগে কারের বাম পাশের লুকিং গ্লাস ভেঙে যায়। পরে বাসটিকে ধাওয়া করে বিজিসি ট্রাস্ট এলাকায় গতিরোধ করে কারের চালক চীনা নাগরিক বহনকারী বাসের চালকের সাথে তর্কাতর্কি করে।
এক পর্যায়ে কারের চালক নাহিদসহ কয়েকজন লাঠি দিয়ে বাসের সামনের গ্লাস ভাঙচুর করে এবং বাসের চালককে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।
বাসে চীনা নাগরিকদের সাথে ৭ জন পুলিশ ও বেশ কয়েকজন সরকারি উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছিলেন বলে জানা যায়।
পরে চীনা নাগরিকদের নিয়ে বাসটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়।
খবর পেয়ে চন্দনাইশ থানার একদল পুলিশ পটিয়া থানা পুলিশের সহায়তায় কারটিকে ধাওয়া করে পটিয়া বাইপাস এলাকায় আটক করে।
এসময় কার চালক ভোলা জেলার লালমোহন পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড হরিগঞ্জ এলাকার মখলেছুর রহমানের পুত্র মো. নাহিদকে (২৮) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে কারে থাকা অন্যান্যরা পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে চন্দনাইশ থানার এসআই বেলাল উদ্দিন বাদি হয়ে কার চালক মো. নাহিদ ও অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনকে আসামী করে চন্দনাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় নাহিদকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন সরকার সাংবাদিকদের জানান, গ্রেপ্তারকৃত কার চালক নাহিদকে আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করে।