চন্দনাইশে অস্ত্র ঠেকিয়ে খামারির ৬ গরু ও স্বর্ণালঙ্কার লুট

চন্দনাইশ প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ৬:৫১ পূর্বাহ্ণ

চন্দনাইশে অস্ত্রের মুখে এক খামারির ৬টি গরু লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতদল। এ সময় ডাকাতরা খামারির বসতঘর থেকেও স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে যায়। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলার বৈলতলী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড ডেবারকুল আবদুল হাই মেম্বারের বাড়ি এলাকায় এ চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে। নিয়ে যাওয়া গরুগুলোর আনুমানিক মূল্য ১২ লক্ষাধিক টাকার উপরে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত খামারি জসিম উদ্দীন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) সাজেদুল ইসলাম।

আবদুল হাই মেম্বার জানান, গত মঙ্গলবার গভীর রাতে ১২ থেকে ১৫ জনের একদল ডাকাত জসিমের খামারে হানা দেয়। এ সময় তারা খামার থেকে গরু নিয়ে পিকআপে তোলার সময় টের পেয়ে খামারের মালিক জসিম ঘরের দরজা খোলার সাথে সাথে জসিম ও তার ছেলেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত, পা বেঁধে ফেলে। পরে তারা খামার থেকে সবচেয়ে বড় সাইজের ৬টি গরু ট্রাকে তোলে। এরমধ্যে কয়েকজন ঘরে প্রবেশ করে একজোড়া স্বর্ণের কানফুল, ১টি আংটি ও নগদ ৫/৬ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে খোদারহাট ব্রিজ পার হয়ে সাতকানিয়ার দিকে চলে যায়। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত জসিম উদ্দীন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন আবদুল হাই। জানা যায়, গত কোরবানি ঈদে গরুগুলো চাহিদা মতো দামে বিক্রি করতে না পারায় আগামী কোরবানি ঈদে বিক্রির উদ্দেশ্যে গরুগুলো পুনরায় লালন পালন করছিলেন জসিম।

উল্লেখ্য, প্রতি রাতেই উপজেলার কোথাও না কোথাও হচ্ছে গরু চুরি। গরু চুরি আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় গরু লালনপালনকারী খামারি ও কৃষকদের মধ্যে বিরাজ করছে আতংক। চলতি সপ্তাহের গত শনিবার রাতেও চন্দনাইশ পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড বিশ্ব বাবুর বাড়ি ও সিকদারপাড়া এবং বরমা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড মাইগাতা থেকেও ৬ দরিদ্র কৃষকের ১০টি গরু চুরি হয়।

চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমরান আল হোসাইন জানান, সকালে গরু নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। এ সময় খামারি ও তার পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বললে, ঘটনার ব্যাপারে একেকজন একেক রকম তথ্য দিচ্ছেন। তারা গরু বহনকারী গাড়িটি খোদারহাট ব্রিজ পার হওয়ার কথা বললেও ওদিকে দায়িত্ব পালনকারী ২ পাহারাদার বলছেন রাত ৩টার পর একটি সিএনজি ছাড়া কোনো গাড়ি ব্রিজ পার হয়নি। এছাড়াও খোঁজ নিয়ে জানা গেছেখামারি জসিম উদ্দীনের ব্যাংক ঋণ রয়েছে ২০ লাখ টাকা। তাই বিষয়টি যথেষ্ট সন্দেহজনক মনে হচ্ছে। তদন্তের পর ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে বলেও জানিয়েছেন ওসি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচবি চারুকলার শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
পরবর্তী নিবন্ধপাপিয়া সারোয়ার লাইফ সাপোর্টে